ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শরীফের অপসারণের তদন্ত চেয়ে ১০ আইনজীবীর রিট খারিজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
শরীফের অপসারণের তদন্ত চেয়ে ১০ আইনজীবীর রিট খারিজ

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক পদ থেকে মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।  

এর আগে গত ৮ মার্চ শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, কোনো স্বাধীন সংস্থা বা সরকারি কর্মকর্তার কোনো আদেশ যদি আদালত বেআইনি বা আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেন, তারপরে কী সে কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা চাকরিচ্যুত করা হয়? হাইকোর্টের আদেশ যখন আপিল বিভাগ এখতিয়ারবহির্ভূত ঘোষণা করেন, তারপর কী হাইকোর্টের ওই বেঞ্চের বিচারকদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়? 

শিশির মনির বলেন, এ রকম কোনো নজির নেই। কিন্তু শরীফ উদ্দিনের বেলায় তা করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে দুদকের ভাবমূর্তি নিয়ে। যে কারণে বিষয়টির অনুসন্ধান প্রয়োজন, রিটে তাই চাওয়া হয়েছে।  

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদকের কর্মকর্তা হিসেবে শরীফ উদ্দিন তার ক্ষমতার অপব্যহার করেছেন। তিনি ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন কমিশন, আদালতের অনুমোদন, অনুমতি ছাড়া। যে ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা নেই, যে ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৬ টাকা, সে রকম ব্যাংক হিসাবও উনি জব্দ করেছেন।  

তিনি আরও বলেন, শরীফ উদ্দিন চরমভাবে পেশাগত অসদাচরণ করেছেন। দুদক চাকরিবিধি ৫৪(২) অনুযায়ী অন্তর্নিহিত ক্ষমতা দিয়ে তাকে অপসারণ করেছে। কারণ শরীফ উদ্দিন কমিশনের আদেশ-নির্দেশ উপেক্ষা করছিল। সে কমিশনের বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আর কমিশন কখন কাকে, কোথায় বদলি করবে, অপসারণ করবে তা কমিশনের নিজস্ব ব্যাপার। তাছাড়া এতে জনস্বার্থও জড়িত না। সুতরাং এ রিটের এখতিয়ার রিটকারীদের নেই। এ রিট চলে না।  

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।

রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিব, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত), পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) ও শরীফ উদ্দীনকে বিবাদী করা হয়।

১০ আইনজীবী হলেন- আইনজীবী শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, আহমেদ আব্দুল্লাহ খান, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।