ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই চলবে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২২
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই চলবে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা সেহেল রানা। ফাইল ছবি

ঢাকা: নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ আগস্ট) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালত মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানোর জন্য দাখিল করা আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।

ফলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই চলবে মামলাটির বিচারকাজ।  

একইসঙ্গে আগামী ২৮ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে হাজির হতে বলেছেন আদালত।

গত ২২ আগস্ট তৌহিদুল ইসলাম সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ওই দিন মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের সময় শেষ হয়ে গেছে মর্মে একটি আবেদন করে। তাই মামলাটি দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর প্রার্থনা করেন। ওইদিন শুনানি শেষে বুধবার আদেশের জন্য দিন রাখেন। সে অনুযোগের আজ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়া হয়।  

মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।

বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নীচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২২
কেআই/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।