ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিদ্যুৎ বিপর্যয়

মোমবাতির আলোয় চললো হাইকোর্টের বিচারকাজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২২
মোমবাতির আলোয় চললো হাইকোর্টের বিচারকাজ

ঢাকা: বিদ্যুতের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়লেও থেমে থাকেনি উচ্চ আদালতের বিচারকাজ।

মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর প্রথমে মোবাইলের আলোতে এবং পরে মোমবাতি দিয়ে বিচারকাজ চালিয়েছেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই বেঞ্চে বিচারকাজ চলে। এমন পরিস্থিতিতে বিচারকাজ চালিয়ে নেওয়ায় সাধুবাধ জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এই আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফারমেশনের রেফারেন্স; সকল ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল; ফৌজদারি বিবিধ এবং অতি জরুরি ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, কাস্টমস ও ইনকামট্যাক্সসহ সকল প্রকার রিট; ২০০৯ সালের ট্রেডমার্ক আইনের অধীনে আপিল; ১৯১১ সালের পেটেন্ট ও ডিজাইন আইনের ৫১(ক) এবং ২৬(খ), (গ), (ঘ) ও (ঙ) ধারামতে আবেদনপত্র ও আপিল; মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ১২৪ ধারা মোতাবেক রিভিশন/আপিলসহ মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১-এর ধারা ৪২(১)(গ) ক্ষমতাবলে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল; আয়কর রেফারেন্স মোকদ্দমা ও আয়কর সংক্রান্ত রিট; কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯-এর ধারা ১৯৬ডি অনুযায়ী আপিল শুনানি; হাইকোর্ট বিভাগ ও অধীনস্থ আদালত সমূহের অবমাননার অভিযোগপত্র গ্রহণ সংক্রান্ত শুনানি হয়।

এই আদালতে উপস্থিত থাকা আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব জানান, বিদ্যুৎহীন অবস্থায় অনেক কষ্ট স্বীকার করে দুজন বিচারপতি দীর্ঘ সময় বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয় ঘটে। বিদ্যুতের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, আকস্মিকভাবে দুপুর ২টা ৪ মিনিট থেকে জাতীয় গ্রিডের ইস্টার্ন অংশে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ) সমস্যা দেখা দেওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রকৌশলীরা দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় গ্রিড সচল করতে নিবিড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ সেবা চালু করা হবে বলে আশা করা যায়। পিজিসিবিসহ বিদ্যুৎ খাতের সকল সংস্থা একযোগে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধৈর্য্য ধারণ করতে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।

সন্ধ্যার মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছিল পিজিসিবি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২২
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।