ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অন্তঃসত্ত্বা বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
অন্তঃসত্ত্বা বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী রিমান্ডে

ঢাকা: রাজধানীর শুক্রাবাদে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক বিউটিশিয়ানকে বাসায় ডেকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার দুজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

শুক্রবার (১৪ অক্টোকর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শুভ্রা চক্রবর্তী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)। দুজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।  

এদিন দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরে-বাংলা নগর থানার পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আসামিদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

গত বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে শেরে-বাংলা নগর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী সাভারে থাকতেন। একটি অনলাইন পেজের মাধ্যমে তিনি বাসায় গিয়ে নারীদের ফেসিয়াল করিয়ে দিতেন। পেজে দেওয়া নম্বরে গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) তাসলিমা নামে এক নারী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই বিউটিশিয়ানকে ফোন দেন। ওই নারী ভিক্টিমকে জানান, শুক্রাবাদ এলাকায় ফেসিয়াল সেবা দিতে হবে।  

সেই তথ্যের ভিত্তিতে সাভার থেকে বিউটিশিয়ান ওই নারী শুক্রাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। পথে তাসলিমার ভাই পরিচয়ে আসামি রিয়াদ ভিক্টিমের অবস্থান সম্পর্কে ফোনে কয়েকবার খোঁজ নেয়। সন্ধ্যার পর ওই নারীকে রিয়াদ শুক্রাবাদ থেকে রিসিভ করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তখন কোনো মেয়ে ছিল না। রিয়াদ তাসলিমা নামে ওই নারীর জন্য ভিক্টিমকে অপেক্ষা করতে বলে।  

এরপর সেখানে আসে তার বন্ধু সিয়াম ও জিতু। পরে এ তিন বন্ধু মিলে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সেই নারীকে রাস্তায় একটি সিএনজিতে তুলে দেয় তারা।

এরপর ভিক্টিম তার স্বামীসহ প্রথমে ধানমন্ডি থানায় যান। তবে ঘটনাস্থল শেরে-বাংলা নগর থানার অধীন হওয়ায় তাদের সেখানে পাঠানো হয়। এরপর ভিক্টিমের স্বামী বাদী হয়ে শেরে-বাংলা নগর থানায় চারজনের নামে গণধর্ষণের মামলা করেন। এরপর ভিক্টিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।  

এদিকে মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে রিয়াদ ও সিয়ামকে গ্রেফতার করে শেরে-বাংলা নগর থানা পুলিশ। আসামিরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বখে যাওয়া শিক্ষার্থী বলে জানায় পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।