ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পাবনায় কৃষক হত্যায় ২১ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
পাবনায় কৃষক হত্যায় ২১ জনের যাবজ্জীবন

পাবনা: পাবনা সদর উপজেলার চর তারাপুরে কৃষক আব্দুস সালাম হত্যা মামলায় ২১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান মুন্নী এ রায় দেন।  

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার ভাদুরীডাঙ্গী গ্রামের সোবাহান মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা, আব্দুল বাছেদ শেখের ছেলে মিনহাজ, শাকের মোল্লার তিন ছেলে নবী শেখ, সুলতান মাহমুদ পক্ষী ও মোক্তার, মৃত ছোবা শেখের ছেলে বাছেদ শেখ, ইনাই খাঁর ছেলে আইয়ুব খাঁ, আমির মোল্লার ছেলে আসলাম, গফুর মোল্লার ছেলে লতিফ মোল্লা, রুস্তম মোল্লার ছেলে ছোবাই মোল্লা, বাহাই প্রামাণিকের ছেলে কালাম, আকুল মোল্লার ছেলে মহির মোল্লা, হাচেন মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী মোল্লা ও রেজাউল মোল্লা, গফুর মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা, সুজানগর উপজেলার চর ভবানীপুর গ্রামের করিম মোল্লার দুই ছেলে মোকছেদ মোল্লা ও বারেক মোল্লা, মৃত বশির মোল্লার ছেলে করিম মোল্লা, ভবানীপুর কাচারী মাঠ সংলগ্ন আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে খোকন, মানিকদিয়ার গ্রামের হবিবরের ছেলে রফিক এবং সদর উপজেলার কোলচুরি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে বাবলু।

সাজাপ্রাপ্ত ২১ জনের মধ্যে বারেক, মিনহাজ, বাবলু, বাছেদ শেখ, লতিফ মোল্লা ও ছোবাই পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আর বাকি ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৭ নভেম্বর আব্দুস সালাম কৃষিজমিতে কাজ করছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই সময় আসামিরা হত্যার উদ্দেশে তাকে ঘিরে ধরলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পেছন থেকে তাকে গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই আব্দুল জব্বার। পরের বছর ১৯৯৯ সালের ১ আগস্ট ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে তিন আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সোমবার বাকি ২১ আসামিকে এ সাজা দেন আদালত।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার এবং রাষ্ট্রপক্ষ পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।

অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বলেন, পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।  

তবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও এ রায় দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।