ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ নভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২২
রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ নভেম্বর নিহত মুহিবুল্লাহর ফাইল ছবি

কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিব উল্লাহ হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনে বুধবার (২ নভেম্বর) মুহিব উল্লাহর ভাই আহমদ উল্লাহ ও কাশেম মিয়া নামে আরও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।  

তারাসহ গত তিন দিনে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ মামলার ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে প্রথম দফায় পাঁচজনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে।

 

আগামী ১৫ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোজাফ্ফর আহম্মদ হেলালী।

তিনি বলেন, এর আগে সোমবার (৩১ অক্টোবর) মামলার বাদী ও এক নম্বর সাক্ষী নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ এবং মঙ্গলবার নুর আলম ও সাব মাঝি মো. হামিদ আদালতে সাক্ষ্য দেন।  


রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী জানান, মিয়ানমার থেকে বাস্ত্যুচুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালন করায় ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া এরাকায় আরসা সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ)’-এর চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাকে গুলি করে হত্যা করে।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহতের ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৮ মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৩৮ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

আদালত শুনানি শেষে ১১ সেপ্টেম্বর এ মামলার ২৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন।  

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সাক্ষ্য দানকালে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এক আসামি সাক্ষী নুর আলমকে হাতের ইশারায় হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালতের বিচারক আসামি ও তার আইনজীবীকে সতর্ক করেন। এ ঘটনায় আজ বুধবার আদালতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।  

প্রসঙ্গত, বর্তমানে নিহত মুহিব উল্লাহর পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
এসবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।