বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা আরও বেশি করে ঘটে।
টাক পড়েছে বলে ভাববেন না শ্যাম্পু ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই। তেল ও ময়লা জমে টাক অমসৃণ দেখায়। টাকের চামড়া উঠে সাদা, খসখসে দেখাতে পারে। তাই নিয়ম করে টাক পরিষ্কার করুন। সাবান বা তরল সাবান ব্যবহার করলে টাক আরও রুক্ষ দেখায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করুন।
গোটা শরীরের ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা যেমন জরুরি, টাকের আর্দ্রতা বজায় রাখাও প্রয়োজন। তাই প্রচুর পানি খান। ঘুমানোর সময়ে হালকা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিলেও টাকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। রোদে বের হওয়ার আগে শরীরের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি টাকেও সানস্ক্রিন লাগান।
চুল থাকলেই কেবল তেল মালিশ করা দরকার, এই ধারণা ঠিক না। টাক থাকলেও তেলের ব্যবহার করতে হবে। আঙুল দিয়ে মাথায় হালকা চাপ দিতে দিতে সারা মাথায় মালিশ করুন। কপাল থেকে শুরু করে ব্রহ্মতালুতে পৌঁছন, সেখান থেকে আস্তে আস্তে ঘাড়ের কাছে নেমে আসুন। আরাম তো পাবেনই, সঙ্গে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়ে টাকের ঔজ্জ্বল্যও বাড়বে।
এছাড়া যাদের হালকা টাক পড়তে শুরু করেছে তারা চারটি ঘরোয়া উপাদান মেনে চললে চুল পড়া বন্ধ হবে। ওই উপাদানগুলো নিয়ম মেনে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। চুল ও মাথার ত্বকে পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে অ্যালোভেরা। নিমপাতার পানি, দই, মধু, মেথি ও লেবুর রস।
অ্যালোভেরা জেল চুলের জন্য খুবই উপকারি। চুল ও মাথার ত্বকে পিএইচ-এর ভারসাম্য রক্ষা করে অ্যালোভেরা। তবে যাদের ত্বকে সমস্যা তারা এর শাঁস ফুটিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের আগা থেকে গোড়া এই শাঁস লাগান। এছাড়া মাথার ত্বকে আঙুলের সাহায্যে মাসাজ করুন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। রাতে পানিতে মেথি ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্লেন্ডারে পিষে এর সঙ্গে টক দই ও মধু মিশিয়ে নিন। গোসলের আগে মাথায় লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পানিতে নিম পাতা ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। সপ্তাহে দুবার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারের পর এই পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
ভিটামিন ‘বি’ ও চুলে প্রোটিন বাড়াতে এ উপাদানের জুড়ি নেই। এক চামচ দধি, এক চামচ মধু ও একটা লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে মাখিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৩
এএটি