ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

‘শুধু নামেই সুন্দর নয়, সত্যিই অপরূপ সুন্দরবন’

বিপুল হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১১

[বলিউড তারকা ও ইউএনএফপির বিশেষ দূত মনীষা কৈরালা পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে সুন্দরবনকে ভোট দিতে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় এসেছেন। শান্ত মারিয়াম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘ভোট ফর সুন্দরবন’ শীর্ষক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ ১৯ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় তেজগাঁও নভো কনভেনশন সেন্টারে সুন্দরবনকে ভোট প্রদান করবেন।

সকালে তিনি শিল্পী মোস্তাফিজুল হক রেট্রোস্পেকটিভ চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

শান্ত মারিয়াম ফাউন্ডেশন ১৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে মনীষা কৈরালার সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করে। সেখানে নেপালি বংশোদ্ভূত বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাংলানিউজের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ]

বাংলানিউজ : বাংলাদেশে আসার অনুভূতির কথা জানতে চাই?

মনীষা কৈরালা : আমি মুগ্ধ ও আনন্দিত। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তার কথা অনেক আগেই শুনেছি। এ দেশে এসে তার প্রমাণ পেলাম। এ দেশের মানুষকে আমি সম্মান করি। কারণ এ দেশের মানুষ ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছেন। স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছেন।

বাংলানিউজ : সুন্দরবন সম্পর্কে আগ্রহী হলেন কেন?

মনীষা কৈরালা : স্কুলে পড়ার সময় পাঠ্যপুস্তকে সুন্দরবন সম্পর্কে পড়েছি, ‘দ্য হোম অব রয়েল বেঙ্গল টাইগার’। বেশ কয়েক বছর আগে ভারতীয় অংশের সুন্দরবনে একটা ছবির শুটিংয়ে অংশ নিতে গিয়েছিলাম। অনেক বন-জঙ্গল দেখেছি। কিন্তু সুন্দরবনের সৌন্দর্য আলাদা। আমার কাছে সুন্দরবনের পক্ষে প্রচারের প্রস্তাব এলে আমি তাই সানন্দেই রাজি হয়েছি। কারণ আমার মনে হয়েছে, পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সপ্তাশ্চর্য হওয়ার মতো বৈশিষ্ট্য সুন্দরবনের আছে। শুধু নামেই সুন্দর নয়, সত্যিই অপরূপ সুন্দরবন।

বাংলানিউজ : বলিউডের ছবিতে সাম্প্রতিক সময় আপনাকে কম দেখা যায় কেন?

মনীষা কৈরালা : একটানা অনেক ছবিতেই তো কাজ করলাম। সম্প্রতি আমি বিয়ে করেছি। বিবাহিত জীবনটা উপভোগ করার জন্য কাজের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয়েছে। তাছাড়া সিনিয়র হিসেবে নতুনদের জন্যও তো জায়গা ছেড়ে দেওয়া দরকার।

বাংলানিউজ : বলিউডে আসা নতুনদের সম্পর্কে আপনার মন্তব্য?

মনীষা কৈরালা : বলিউড এমন এক জগৎ, যেখানে মেধা না থাকলে জায়গা পাওয়া অসম্ভব। নতুনরা মেধা আর প্রতিভা দিয়েই নিজেদের প্রমাণ করছেন। আমি আলাদাভাবে কারো নাম বলতে চাই না। নতুনদের কাজ আমি পছন্দ করি।

বাংলানিউজ : বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে আপনার ধারণা...

মনীষা কৈরালা : খুব একটা নেই। অনেকের কাছে ‘মনের মানুষ’ ছবিটি সম্পর্কে প্রশংসা শুনেছি। ইচ্ছে আছে ছবিটি দেখার।

বাংলানিউজ : বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে কী করবেন?

মনীষা কৈরালা : এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কেউ অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমার কাছে আসেননি। কাজেই বলতে পারছি না, প্রস্তাব পেলে কাজ করব কিনা। কখনো প্রস্তাব এলে তখন না হয় ভেবে দেখব।

বাংলানিউজ : আপনার সেরা অভিনয় কোনটি?

মনীষা কৈরালা : এটা তো বলবেন দর্শকরা। আমি একজন পেশাদার অভিনয়শিল্পী। সব অভিনয়ই আমাকে মন দিয়ে করতে হয়। তবে অনেকেই আমাকে বলেছেন আকেলে হাম আকেলে তোম, খামোশি, দিল সে, কোম্পানি প্রভৃতি ছবিতে আমার অভিনয় তাদের বেশি ভালো লেগেছে।

বাংলানিউজ  : নেপালের একটি বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ভবিষ্যতে আপনাকে কি রাজনীতিতে দেখা যাবে?

মনীষা কৈরালা : রাজনীতি নিয়ে আপাতত ভাবছি না। সামাজিক কিছু কাজে নিজেকে জড়িয়েছি। সেগুলো নিয়েই আছি। সামাজিক কাজের অংশ হিসেবেই বাংলাদেশে এসেছি, সুন্দরবনের জন্য প্রচারের কাজে।

বাংলানিউজ : একজন বিদেশি হিসেবে বলিউডে নিজের ক্যারিয়ার কীভাবে উপভোগ করছেন?

মনীষা কৈরালা : শোবিজে এখন দেশি-বিদেশি বলে কোনো ব্যবধান আছে বলে মনে হয় না। হলিউডের পারফর্মাররা বলিউডে কাজ করছেন, বলিউড থেকে শিল্পীরা হলিউড যাচ্ছেন। জাতিগতভাবে আমি নেপালের মানুষ হলেও বলিউডে নিজেকে কখনো বিদেশি ভাবিনি।

বাংলানিউজ : আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা?

মনীষা কৈরালা : সংসারী হওয়া, বিবাহিত জীবনটা উপভোগ করা আর ভবিষ্যতেও চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকব এটুকু বলতে পারি।

বাংলাদেশ সময় ১৪৪৫, জানুয়ারি ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।