ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

পিক্সেল আর এইট স্টুডিও

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৫
পিক্সেল আর এইট স্টুডিও

বাংলাদেশে আইটি ইন্ডাস্ট্রি ছোট বড় শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে চলেছে, এবং তা শুধু সাধারণ কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ড্রিমওয়ার্ক্স, পিক্সার ইত্যাদি বিশ্বকাঁপানো স্টুডিওতেও আমাদের দেশের তরুণ মেধাবী শিল্পীরা আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে তাদের কাজের ছাপ রাখছে।

এরকম একটা ভিন্নরকমের উদ্যোগ পিক্সেল আর এইট স্টুডিও।

পিক্সেল আর এইট স্টুডিও-র কাজ অ্যানিমেশন-ভিত্তিক হলেও অত্যন্ত ভিন্নধর্মী এবং বাংলাদেশে প্রচলিত অন্যান্য সকল ধরনের অ্যানিমেশন থেকে আলাদা, কারণ তারা অ্যানিমেশনের জন্য যে সব মাধ্যম বেছে নিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের অন্য কোনো সংস্থা এত বিচরণ করে নি।   বিশ্বের সর্বাধুনিক ইলিউশন টেকনোলজি থ্রিডি প্রজেকশন ম্যাপিং, যা এখনো সারা বিশ্বেই খুব কম স্টুডিওই করে থাকে। পিক্সেল আর এইট গত দুই বছর ধরে সাফল্যের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন উৎসবে থ্রিডি প্রজেকশন ম্যাপিং করে যাচ্ছে, আর তাদের কাজে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সংযোজন অনবরতই ঘটছে।

থ্রিডি প্রজেকশন ম্যাপিং যে কোনো সমতল বা বাঁকা সার্ফেসকে প্রজেক্টরের সাহায্যে একটি অ্যানিমেটেড সার্ফেসে রূপান্তর করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ বা নর্থ অামেরিকাতে বড় বড় বিল্ডিংকেও অ্যানিমেটেড বিল্ডিং-এ রূপান্তর করে উপস্থিত মানুষকে অভূতপূর্ব এবং দৃষ্টিনন্দন আনন্দ দেয়া হয়। বি এম ডাব্লিউ বা অডি ইত্যাদি গাড়ির উপর থ্রিডি ম্যাপিং করে গাড়ির চেহারা পালটে দেয়া যায় মুহূর্তের মধ্যে, অ্যানিমেশনের কারসাজিতে। পিক্সেল আর এইট ইতিমধ্যেই সত্যিকারের বিল্ডিং কিংবা বিশালাকৃতির ইনডোর সেটের পাশাপাশি  সত্যিকারের সাইকেলের ওপরেও প্রজেকশন ম্যাপিং করে সেটাকে একটা অ্যানিমেটেড সাইকেলে রূপান্তর করেছে।

থ্রিডি প্রজেকশন ম্যাপিং ছাড়াও পিক্সেল আর এইট লাইভ ভিডিও মিক্সিং ও এল ই ডি স্ক্রিন স্লাইসিং এর কাজ করে, যার মাধ্যমে টিভিতে দেখা বিশ্বকাঁপানো রিয়ালিটি বা পারফরম্যান্স স্টেজের মত স্টেজ দেশে বসেই বানানো যায়, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। এছাড়াও বডি মোশন সেন্সর দিয়ে হাতের ইশারায় চালানোর মত ইন্টার‍্যাক্টিভ প্রেজেন্টেশন তৈরি করছে।

পিক্সেল আর এইট-কে এই অবস্থায় আসার পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। এই বিষয়ে তরুণ উদ্যোক্তা ও পিক্সেল আর এইট এর পরিচালক জুনায়েদ সাব্বির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেছেন, “আমরা গর্বিত যে আমরা বাংলাদেশের মানুষ হয়ে দেশের জন্য এই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি। অবশ্যই বাংলাদেশে যে কোনো সাহসী নতুন উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখবে। ”

পিক্সেল আর এইট এর আরেকজন পরিচালক সোহেল আলম ডিউক, বাংলাদেশের প্রথম ডিজে, তার অভিজ্ঞতার থলিতে  রয়েছে দুই দশকেরও বেশি কর্পোরেট ও সাংস্কৃতিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে সাফল্য।   পিক্সেল আর এইট এর তৃতীয় পরিচালক মারুফ নাইম পিক্সেল আর এইট এর পাশাপাশি বাংলাদেশের একমাত্র গাড়িবিষয়ক ম্যাগাজিন “ফাস্ট লেন” এর নির্বাহী সম্পাদক।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।