দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া....
ব্যস্তÍ জীবনে একটু সময় পেলেই প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে যান পাহাড় বা সাগরের কাছে।
বর্ষায় পর্বত প্রেমী পর্যটকরা ঘুরে আসতে পারেন পাহাড় অরন্যে ঘেরা রাঙামাটির সুভলং।
প্রতি বছর বর্ষা এলেই জেগে উঠে পাহাড়ের খাদে লুকিয়ে থাকা সুভলং এর র্ঝনা গুলো। এই ঝর্নাগুলো পার্বত্য রাঙামাটির শহর থেকে মাত্র দেড় ঘন্টা দূরত্বে অবস্থিত । এখানে প্রায় ৭- ৮ টি ঝর্না আছে। তবে বড় ঝর্না একটিই ,যা সুভলং ঝর্ণা নামে খ্যাত । মৌসুমী এইসব ঝর্নার আয়ুস্কাল ৩-৪ মাস।
মূলতঃ বর্ষাকাল জুড়েই প্রবাহিত হয় এইসব ঝর্নাধারা । বিশালাকৃতির সুভলং ঝর্ণাটি যে মৌসুমী ঝর্ণা বিশ্বাস করতেই যেন মন চায়না। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই ঝর্নার সোন্দর্য দেখতে আসেন। অনেক র্পযটক রাঙামাটি এসেও সুভলং ঝর্না না দেখেই ফিরে যান পর্যাপ্ত তথ্য না পেয়ে।
রাঙামাটি শহর থেকে লঞ্চ অথবা ভাড়া করা বোটে সুভলং আসতে পারেন। শহরের রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ২টা পর্যন্ত লঞ্চ ছেড়ে যায় বিভিন্ন উপজেলার উদ্দেশ্যে। এর মধ্যে লংগদু , বাঘাইছড়ি , জুরাছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যেকোন লঞ্চে উঠলেই সুভলং পৌঁছে যেতে পারেন । এ ক্ষেত্রে আপনাকে পুনরায় নৌকা ভাড়া করে ঝর্ণাস্থলে আসতে হবে । সবচে ভালো হয় যদি দলবেঁধে এসে রির্জাভবাজার, তবলছড়ি বনরুপা অথবা পর্যটন কমপ্লেক্স থেকে বোট ভাড়া করা যায় ।
এতে ইচ্ছেমত ঝর্ণাস্থলে সময় কাটানো যাবে। বোট ভাড়া ১০০০- ১৫০০টাকা পর্যন্ত। এটা র্নিভর করবে যাত্রী সংখ্যা এবং বোটের আকৃতির উপর । স্পিড বোট ভাড়া করেও ঝর্নাস্থলে যাওয়া যায় । ভাড়া প্রতি ঘন্টায় ১০০০ টাকা। সময় লাগবে ২০ - ২৫ মিনিট ।
সুভলং এলাকার থাকায় কোনো ব্যবস্থা নেই । সুতরাং আপনাকে দিনে দিনেই ফিরে আসতে হবে । তাছাড়া ওখানে ভালো কোনো খাবার হোটেল নেই । তাই খাবার আপনারা সঙ্গে নিয়ে নিলেই ভালো । সুভলং ঝর্নার প্রায় কাছাকাছি অবস্থিত ২২০০ ফুট উঁচু ‘সুভলং পাহাড়’ । পাহাড় শীর্ষে রয়েছে সেনা ক্যাম্প ও টিঅ্যান্ডটি টাওয়ার । পাহাড়ে উঠার জন্য চমৎকার সিঁড়ি কাটা আছে।
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটদের জন্য পাহাড় র্শীষ থেকে চারপাশের অপরূপ দৃশ্য আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা কবিত্বকে জাগিয়ে তুলবে নিশ্চিত। হ্যাঁ ,সুভলং এলে সাথে ক্যামেরা আনতে ভুলবেননা, নতুবা বঞ্চিত হবেন জীবনের প্রিয় এক মুহূর্তের স্মৃতি ধরে রাখতে।