রেজাউর, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। ক্লাস করা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়, ছোট-বড় পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেজেন্টেশন, এমন কত জায়গায় যেতে হয় তাকে।
রেজাউর জানালো, পোশাক, সাজ এমন হতে হবে যাতে অনেকের ভিড়েও নিজেকে আলাদা করে চেনানো যায়। তবে অন্যকে নকল করে নয় বরং স্বকীয়তা তুলে ধরে। শুধু রেজাউর নয়, আজকের দিনের তরুণরা ফ্যাশন ও স্টাইল সচেতন।
কেমন হবে তরুণদের ফ্যাশন?
* বিভিন্ন উপলক্ষে, কোথায় নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করা দরকার তা জানতে হবে। যেমন পোশাকই পরা হোক না কেন, সবার আগে দেখতে হবে আমাকে এটি মানাচ্ছে কি না
* ফ্যাশন সম্পুর্ণ নিজস্ব ধারণা। কিন্তু এর সঙ্গে উপলক্ষ, আরাম, স্বাচ্ছন্দের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে
* শুধু ফ্যাশনেবল পোশাক পরলেই চলবে না, নিজেকে সাবলীলভাবে উপস্থাপন করতে হবে
* ফ্যাশন শুধু পোশাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, পোশাকের পাশাপাশি জুতা-স্যান্ডেল, বেল্ট, ঘড়ি, সানগ্লাস এগুলোর নির্বাচনে রুচির ছাপ থাকা জরুরি
* অনুষ্ঠান বুঝে পোশাক পরতে হবে। যেমন বন্ধুদের আড্ডা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরমাল প্রেজেন্টেশনে এক পোশাক পরা যাবে না
* পোশাক নির্বাচনের সময় আবহাওয়ার দিকটিও মাথায় রাখুন। যেমন বৃষ্টির দিনে মোটা জিন্স এড়িয়ে চলা। গরমে পরপর দুদিন একই পোশাক না পরা
* পোশাক যা-ই হোক, সেটা অবশ্যই পরিস্কার হতে হবে
* সব পোশাক এবং আনুসাঙ্গিক জিনিস হয়তো ব্র্যান্ড থেকে কেনা সম্ভব না হয়, তবে বিশেষ প্রোগ্রামের জন্য কিছু ভালো মানের পোশাক থাকতে হবে
তারুণ্য মানেই এলোমেলো, খেয়ালখুশি মতো চলা নয়। নিজের ভালো লাগার যেমন গুরুত্ব দিতে হবে। তেমনি দেশের সংস্কৃতি ধারণ করার দায়িত্বও তরুণদের এটাও মাথায় রাখতে হবে।