অনেকেই আমরা এর সাথে একমত হতে পারি, আবার অনেকেই এই ব্যাপারটি একদমই হেসে উড়িয়ে দিতে পারি।
আপনি যদি, হেসে উড়িয়ে দেয়া দলের হয়ে থাকেন, তবে আপনি আপনার পছন্দের গানের প্লে-লিস্টটিই দেখুন না, দেখবেন এই চোখ আর তার ভাষার মাধ্যমে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ নিয়ে কতগুলো গান আছে।
জীবনানন্দ, কায়কোবাদ, নজরুল, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যজুড়ে এর সরব উপস্থিতি তো আমরা দেখেছিই।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলোজি বিভাগের, গবেষকদল প্রায় কুড়ি যুগল স্বেচ্ছাসেবী প্রেমিক-প্রেমিকার একটি দল নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করেন। যাদের দু’দলে ভাগ করে, একই ধরনের কিছু প্রেমালাপ করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পার্থক্য ছিল, প্রথম দলের যুগলরা পরস্পরের মুখোমুখি ছিল, আর দ্বিতীয় দলের যুগলদের মাঝখানটায় ছিল পর্দা, অর্থাৎ তারা একে অন্যকে দেখতে পেতেন না। এসময় তাদের প্রত্যেকের মস্তিষ্কের কোষের ম্যাগনেটিক রেজোনেন্সের মাধ্যমে কিছু ছবি তোলা হয়, আর এরপর ফলাফল বিশ্লেষণ করে যা পাওয়া যায় তাতে গবেষকরা মানতে বাধ্য হন যে, চোখের এই নীরব ভাষার কাছে, মুখের সরব উপস্থিতি এককথায় কিছুই না।
তারা দেখতে পান, প্রথম দলের যুগলদের পরস্পরের ভালোবাসার আবেগ-অনুভুতি, কথা বলা আর গ্রহণ করার ক্ষমতা দ্বিতীয় দলের তুলনায় অনেক বেশি।
না বলা অনেক কথা, বলা হোক চোখের ভাষায়...