নাসিমা আক্তার নিসা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর জয়েন্ট সেক্রেটারি ও স্টার্ট-আপ রেভারি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ২০১০ সালে রেভেরি কর্পোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান।
গত কয়েক বছরে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্লাটফর্মে ৭৫টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে নিশার প্রতিষ্ঠান রেভারি।
যার মধ্যে হাউ টু ওয়্যার এ শাড়ি, ম্যাচ মেকার, রক অ্যান্ড রোল, উন্মাদ, ফ্লপি বার্ড, পোসড এগগ, ক্যানভাস, এস্কেপবোর্ট, ক্রিকেট রেকর্ড-২০১১, হাউ মাচ ইউ নো বাংলাদেশ, ডেথ কিস, হলিউড ম্যানিয়াসহ বেশকিছু অ্যাপস দেশ ও দেশের বাইরে সুনাম কুড়িয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে এ কার্যক্রম বলেন নাসিমা আক্তার নিসা। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ছাড়াও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ স্টোর সার্ভিস, মোবাইল অ্যাপ মার্কেটিং, অ্যাপ স্টোর রিচার্স নিয়ে কাজ করছে রেভারি।
প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছেন । কম্পিউটার প্রকৌশলী নীলা উইমেন ইন ডিজিটালের প্রতিষ্ঠাতা। দীর্ঘ দিন মাল্টিন্যাশনাল সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করেছেন। বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
নীলা বলেন, নয় বছরের বেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি মেয়েরা টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে চায় না অথবা তাদের করতে দেওয়া হয় না। নারীরা প্রযুক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে রয়েছে, নারীদের তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও তাদের এগিয়ে নিতেই প্রতিষ্ঠা করলাম উইমেন ইন ডিজিটাল।
এখানে নারী ডেভেলপাররাই নারীদের কেরিয়ার কাউন্সেলিং ও টেনিং দিয়ে থাকে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো "ন্যাশনাল হ্যাকাথন ফর উইমেন ২০১৭" নামে এবং টেক প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কনটেস্ট "ডিজিটাল ইনোভেশন চেলেঞ্জ ফর ওমেন" এর আয়োজন করে উইমেন ইন ডিজিটাল।
দেশে ১৮ টি জেলায় উইমেন ইন ডিজিটাল কাজ করছে। নীলা বিশ্বাস করেন, দেশের উন্নতি করতে হলে প্রথমে গ্রামের নারীদের রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ওয়েবসাইট: www.womenindigital.net
সিফাত সারোয়ার শপআপ এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, কর্পোরেট ক্যারিয়ার ছেড়ে, শপআপ শুরু করেছিলাম, কারণ শুরু থেকেই বুঝতে পারছিলাম যে অনলাইন বিজনেস নারীদের জন্য অনেক বড় শক্তি হতে পারে। আমি বিশ্বাস করি আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হলে অন্যান্য অনেক কিছুই সহজ হয়ে যায়।
সিফাত আরও বলেন, ঘরে বসেই আয় করার ক্ষেত্রে এফ কমার্সএর তুলনাই হয়না। এফ কমার্স উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করছি প্রায় দুই বছর। এখন আমাদের টিমে প্রায় ২২ জন লোক। আমাদের প্রত্যেকের ই লক্ষ্য এফ কমার্সে কাজ করা সফল নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাদের গল্পগুলো তুলে এনে অন্যদের অনুপ্রাণিত করা।
প্রায় সাত হাজারের বেশি এফ কমার্স উদ্যোক্তাকে শপআপ, ইনভেস্টমেন্ট, ডেলিভারি, প্রচার, ইত্যাদি পেতে সাহায্য করছে। আশা করি শীঘ্রই আরও অনেক নারী উদ্যোক্তাকে আমাদের প্লাটফর্মে যুক্ত করে তাদেরকে এগিয়ে যাবার মতো সহযোগিতা আর মানসিক শক্তি দিয়ে যেতে পারবো।
আমরা বিশ্বাস করি জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। নারীরা সফল হলেই বাংলাদেশ সফল হবে।