ভয় পাচ্ছেন, যে কোনো সময় হার্টঅ্যাটাক হতে পারে! তাহলে দেরি না করে এখনই একটি ছোট্ট পরীক্ষা করিয়ে নিন। এতে করে জানতে পারবেন আপনার বয়সের চেয়েও হার্টের বয়স বেশি না কম।
এতে হার্টের বয়স মাপার সঙ্গে আরও জানা যাবে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক ছাড়া আর কতদিন আপনি নির্বিঘ্ন থাকতে পারবেন।
সম্প্রতি ১৬টি প্রশ্নের উত্তর সম্বলিত একটি নতুন টুল আবিষ্কার করা হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি রোগ শণাক্ত করা সহ কিছু উপদেশও পেতে পারেন। বলা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রটিকে দীর্ঘকাল ঝামেলামুক্ত রাখতে এর জুড়ি নেই।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন এই হার্ট এজ টুলটি তৈরি করেছে। আপনার বয়স, লিঙ্গ, উচ্চতা ও ওজনের নীরিখেই বলে দিতে পারবে হার্টের কী অবস্থা।
তবে আরও কিছু প্রশ্ন করা হবে। যেমন কোথায় বাস করেন, ধূমপান করেন কিনা, আপনি কোন জাতি-বর্ণের এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিশেষ পরীক্ষণযন্ত্রটি আনে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন। এর মাধ্যমে শরীরে কলেস্টেরলের মাত্রা, রক্তচাপ কিংবা আর কোনো সমস্যা যা আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে তাও জানা যায়।
৩০ বছরের কম বয়সীদের কিংবা তারও বেশি বয়সের যাদের কখনোই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা যায়নি, তাদের ওপর এই বিশেষ ব্যবস্থা কাজ করবে।
যুক্তরাজ্যে অন্তত চার-পাঁচ জনের সন্ধান মিলেছে যাদের হৃদযন্ত্র তাদের নিজেদের বয়সের তুলনায় বড় বলে ধরা পড়েছে। অনিমতান্ত্রিক জীবন যাপনের কারণেই এমনটা হয়েছে। আর সে কারণেই নতুন এই পরীক্ষাযন্ত্রের আবিষ্কার।
ওই সব ঘটনায় দেখা গেছে কারও কারও মধ্য চল্লিশেই হৃদযন্ত্রটি ষাট বছর বয়সীর মতো হয়ে গেছে।
সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞরা বারবার গুরুত্ব দিয়েছেন নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের। আর পরিমিত খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, চিন্তামুক্ত থেকে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন নিজের সঙ্গে সঙ্গে হার্টের তারুণ্যও ধরে রাখা সম্ভব।
আমাদের জীবনের মূল যন্ত্রই হচ্ছে হৃদযন্ত্র, হার্টে কোনো ধরনের সমস্যা বুঝতে পারলে, অবহেলা না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলুন।
বাংলাদেশ সময় : ১৮১৮ ঘণ্টা, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
এসআইএস