প্রাকৃতিক ও জৈব উপাদানে নির্ভর করে অনিদ্রা, মাইগ্রেন, অ্যাসিডিটি ও আর্থারাইটিসের মতো অসুখ নিরাময়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে অ্যারোমাকে নতুন আঙ্গিকে হাজির করেছেন তিনি।
এসব উদ্ভাবন নিয়ে তিনি ঢাকায় উপস্থিত হচ্ছেন আগামী ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বসুন্ধরা বিমস্টেক আয়ুষ ট্রেডিশনাল হেলথ কেয়ার প্রাকৃতিক ও জৈব পণ্য এক্সপো ২০২০-এ।
এসব তথ্য জানাতে সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কেয়া শেঠের প্রতিষ্ঠান ‘কেয়া শেঠ অ্যারোমাথেরাপি (বিডি) প্রাইভেট লিমিটেড’। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে নিজের উদ্ভাবিত বিভিন্ন পণ্যের বিস্তারিত তুলে ধরে কেয়া শেঠ বলেন, ‘আমার উদ্ভাবিত পণ্য আগে আমরা নিজেরাই ব্যবহার করি। নিজেদের ওপর প্রয়োগ করি। তারপর ভারত সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই সাধারণ মানুষের জন্য সরবরাহ করা হয়। সারাবছর ধরে আমার গবেষণাগারে প্রতিটি বিষয়কে আরও উন্নত করার গবেষণা চলছে।
এই সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, আমার অ্যারোমা পণ্য বাংলাদেশে চাহিদা বাড়ছে। এরইমধ্যে চট্টগ্রামের আমাদের কারখানা স্থাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের পণ্য যেমন বাংলাদেশে সুলভ হবে তেমনি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানও।
বর্তমানে অ্যারোমা থেরাপি বিষয়ক ২৪০টি বিভিন্ন অসুখের পণ্য ও সৌন্দর্য বিকাশের পণ্য বাজারজাত করছে তার প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি লাইফস্টাইল নিয়ে প্রকাশিত ‘অদ্বিতীয়া’ নামে একটি ম্যাগাজিনেরও সম্পাদক তিনি। ভারতে তিনি দু’বার জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও রয়েছে কেয়া শেঠের অর্জনে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
এসআইএস