উত্তরবঙ্গের রাজধানী খ্যাত বগুড়া জেলা দই এর পাশাপাশি মরিচ এবং আলুর জন্যও বিখ্যাত। আলুর মধ্যেও রয়েছে আবার অনেক ধরণ।
শীতকালে নতুন আলু এবং ধনে পাতা দিয়ে এই আলুঘাঁটি খেতে আরও বেশি মজা। মজলিশ, জলসা, আত্মীয় স্বজন বাড়িতে আসলে এই খাবার রান্না করা হয়ে থেকে। মূল কথা হলো বেশি মানুষের খাওয়াদাওয়া মানে উত্তরবঙ্গে এই পদ থাকবেই। এই আলু ঘাঁটি মাছ, মাংস, ডিম যে কোনোটা দিয়েই করা যায়। আজকে চলুন জেনে নেই রুই মাছ দিয়ে মজাদার আলু ঘাঁটি রেসিপি।
যা লাগবে
রুই মাছ মাথাসহ ৮ পিস, নতুন আলু এক কেজি, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, কাঁচা মরিচ ১০ টি, শুকনা মরিচ ৫ টি, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, গোটা জিরা ২ চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়া ২ চা চামচ সাদা ও কালো এলাচ ৫ টি করে, দারুচিনি দুই টুকরো, তেজপাতা ৩ টি, লবণ স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, তেল ১ কাপ, ধনে পাতা কুচি ২ চা চামচ, টমেটো কুচি আধা কাপ।
যেভাবে করবেন
প্রথমে আলুগুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর সেদ্ধ করা আলুগুলো ছিলে নিয়ে ভেঙ্গে নিতে হবে। অন্যদিকে কড়াইতে তেল দিয়ে প্রথমে গোটা জিরা,তেজপাতা এবং শুকনা মরিচ ফোঁড়ন দিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ দিয়ে ভাজতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হয়ে এলে এর মধ্যে মাছগুলো দিয়ে দিতে হবে এবং দুই পাশ হালকা করে একটু ভেজে নিতে হবে। এরপর একে একে আদা বাটা,রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া,মরিচ গুঁড়া, স্বাদমতো লবণ,টমেটো কুচি,গোটা মসলাগুলো দিয়ে দিতে হবে এবং সামান্য পানি দিয়ে কষাতে হবে।
মাছ কষানো হয়ে গেলে এরমধ্যে সেদ্ধ করা আলুগুলো দিয়ে আবারও একটু কষিয়ে নিতে হবে। আলু এবং মাছ কষানো হয়ে গেলে ভালোমতো নেড়ে মাছগুলো ভেঙ্গে দিয়ে ঘাটির জন্য পানি দিতে হবে। পানি দেওয়ার পরে বারবার নাড়তে হবে যেন লেগে না যায় এবং আলু-মাছ মিশে যায়। ঘাটি ঘন হয়ে আসলে নামানোর আগে ধনে পাতা কুচি এবং ভাজা জিরা গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল মজাদার আলুঘাটি। ভাত হোক বা রুটি-পরোটা যে কোনোটার সঙ্গেই খেতে পারেন ঐতিহ্যবাহী এই আলুঘাঁটি।
লেখা: বগুড়ার মেয়ে কান্তা চক্রবর্তী
সত্ত্বাধিকারী: Klaze Food
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
এসআইএস