মাত্রাতিরিক্ত আবেগের কারণে বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। অতিরিক্ত আবেগ আমাদের মনকে তো ক্ষতিগ্রস্ত করেই, ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে আমাদের শরীরকেও।
যেমন রাগ থেকে বিরক্তি, হতাশা, হিংসা, ক্রোধ তৈরি হয়। রাগ মাথাব্যথা, ঘাড়ের ব্যথা, মাথাঘোরার সমস্যা, বিশেষ করে লিভারের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। এছাড়াও অতিরিক্ত রাগের কারণে আপনার কর্মক্ষেত্রে বা যেকোন পরিস্থিতিতে উন্নতির ক্ষেত্রে অন্তরায় তৈরি করতে পারে।
হতাশা এই বিষয়টির সঙ্গে যে কোনো শুভ কাজ সম্পূর্ণ পরিপন্থী। হতাশা সব মানুষের জীবনে আসে কোনো না কোনো সময়ে, কিন্তু তাকে দ্রুত না সরিয়ে ফেলতে পারলে ঘন অন্ধকার নেমে আসে জীবনে। এছাড়া দুশ্চিন্তা করার অভ্যাস আমাদের পাকস্থলীর ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা আমাদের শরীর আর মন দুইই আচ্ছন্ন করে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ মস্তিষ্ক ও হার্টকে দুর্বল করে দেয়। দুশ্চিন্তা, স্বল্পপুষ্টির খাবার খাওয়া বা ব্যায়াম করার অনীহার ফলে যেসব ঝুঁকি থাকে মানসিক চাপের ফলেও সৃষ্ট সমস্যাগুলো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। ভয় কিডনি ও পাকস্থলীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর যারা দীর্ঘ মেয়াদে ভয়ে ভোগে, তারা লিভার ও হার্টের সমস্যায় পড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
জেডএ