ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লন্ডন

মোদির আশীর্বাদ পেতে মরিয়া তারেক!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
মোদির আশীর্বাদ পেতে মরিয়া তারেক! তারেক রহমান

লন্ডন: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর শুধুমাত্র চিকিৎসা বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুনর্মিলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চান না দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছেলে তারেক রহমান।

জানা গেছে, এ সফরের মধ্যেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিএনপির একটি সম্পর্ক গড়ার চেষ্টাতেও সফল হতে চান তিনি।



পাশাপাশি ব্রিটিশ সরকারের উচ্চ পর্যায় ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গেও দলীয় চেয়ারপার্সনের সাক্ষাৎ করানো যায় কিনা সে চেষ্টাও আছে তারেক রহমানের।
 
এ বিষয়ে সহযোগিতা করছেন কেমব্রিজ-অক্সফোর্ডভিত্তিক তার দুই-এককজন অঘোষিত উপদেষ্টা, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে ইতিহাস পাঠে তারেকের মূল পরামর্শক ছিলেন।

বিএনপি ও তারেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এমন তথ্যই দিয়েছেন বাংলানিউজকে। অন্য একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া লন্ডন পৌঁছানোর আগে থেকেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা শুরু করেন তারেক।
 
যোগসূত্র হতে পারেন মনোজ লাড়ওয়া
এ জন্য তার পরামর্শকেরা খুঁজে বের করেন ব্রিটেনে বসবাসরত একজন প্রভাবশালী ভারতীয় নাগরিক মনোজ লাড়ওয়াকে, বিজেপির উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে যার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

পেশায় আইনজীবী মনোজ কমিউনিকেশন নিয়ে কাজ করেন। নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের অন্যতম কমিউনিকেশন স্ট্রাটেজি মেকার ছিলেন তিনি। ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির সঙ্গেও রয়েছে মনোজ লাড়ওয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। একসময় যুক্তরাজ্য হিন্দু স্টুডেন্টস ফোরাম নামে একটি সংগঠনও তৈরি করেছিলেন মনোজ।

সংগঠনটির প্রথম সভাপতি ছিলেন তিনি। আর সে সময় থেকেই আরএসএসের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক। বিজেপির বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষী একজন প্রভাবশালী থিঙ্কট্যাঙ্ক সদস্যের সঙ্গেও রয়েছে মনোজ লাড়ওয়ার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।

মনোজের সঙ্গে যোগাযোগের বিরামহীন চেষ্টা
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মনোজের সঙ্গে সাক্ষাতের দুই দফা চেষ্টা করা হয়েছে জানালেও এখনও যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছে ওই সূত্র।

যে কোনো সময়ই যোগাযোগ হতে পারে বলে আশাবাদী তারেকের ঘনিষ্ঠরা, এমনটিই নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া লন্ডন পৌঁছানোর আগে থেকেই মনোজ লাড়ওয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তারেক। সূত্র এমন সব তথ্য দিলেও বিএনপি ও তারেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্থানীয় সূত্র ওই মনোজ লাড়ওয়া বিষয়ক তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি।

তবে তারেক যে গত শনিবার পর্যন্ত ভারতীয় কারো কারো সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, তা নিয়ে বৈঠকও করেছেন তিনি। তারেক ঘনিষ্ঠরা এ সত্যতা স্বীকার করেছেন।
 
মোদির আশীর্বাদ পাওয়ার চেষ্টা সেই শুরু থেকেই
সূত্র জানায়, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও বিরোধীদল কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অনেকেরই বসবাস রয়েছে লন্ডনে। মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারেক রহমান বিজেপি ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা শুরু করেন। বিএনপি ও তারেকের ধারণা ছিল, কংগ্রেস সরকার ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগকে নিশ্চয়ই বিজেপি ভালোভাবে নেবে না। এক্ষেত্রে বিএনপির একটি ভালো অবস্থান হতে পারে বিজেপি শিবিরে।

কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কংগ্রেসের রেখে যাওয়া উষ্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা রক্ষা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হওয়ায় কিছুটা হতাশা নেমে আসে তারেক রহমানের মধ্যে। এরপর কিছুদিন বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার যোগাযোগ কমিয়ে দেন তিনি।

কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর আবারও আশাবাদী হয়ে ওঠেন তারেক। শুরু হয়, থেমে থাকা সম্পর্কন্নোয়নের চেষ্টা এবং এটি আরো বেগবান হয়ে ওঠে সম্প্রতি খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরকে কেন্দ্র করে।
 
হাইপ্রোফাইল অ্যাসাইনমেন্ট থেকে দূরে সন্দেহভাজন নেতারা
তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কন্নোয়নের চেষ্টায় বিএনপির অন্যান্য হাইপ্রোফাইল নেতাদের একটু দূরেই সরিয়ে রাখতে চান তারেক রহমান। কারণ, বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে কোনো কোনো নেতা সম্পর্কে মা-ছেলের মধ্যে এক ধরনের বিশ্বাসহীনতা তৈরি হয়েছে।

মির্জা ফখরুলকে লন্ডন আসতে দেওয়া হয়নি
চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে লন্ডন আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও মির্জা ফখরুলকে সে সুযোগ না দিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আরো অনেক নেতা লন্ডন আসার লাইনে থাকলেও খালেদা-তারেকের ক্লিয়ারেন্স পাচ্ছেন না বলে আসতে পারছেন না তারা।
 
ভারতই আদায় করতে পারে নির্বাচন
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এই সরকারের কাছ থেকে একটি নির্বাচন আদায়ে আন্দোলন নয়, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ভারতীয় চাপ, এমনটিই মনে করছেন খালেদা-তারেক।

আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলোও ভারতের সিগন্যাল ছাড়া এ বিষয়ে নাক গলাবে না বিএনপির  থিঙ্কট্যাঙ্ক সদস্য কেউ কেউ বুঝিয়েছেন খালেদা-তারেককে। আর তাই তারেক এখন মোদির আশীর্বাদ পাওয়ার চেষ্টায় বিরামহীন, সূত্রটি এমনই জানিয়েছেন বাংলানিউজকে।
 
অব্যাহত আছে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক চেষ্টা
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ব্রিটিশ রাজনীতিক বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে দলীয় চেয়ারপার্সনের সাক্ষাতের আগ্রহের কথা নাকচ করে দিলেও ভারত ছাড়াও ব্রিটেনের হাইপ্রোফাইল রাজনীতিকদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের আয়োজনের চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত এটি সফলতার মুখ দেখতে পারেনি।

খালেদা জিয়া এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে, চিকিৎসার জন্য। এর বাইরে কারো সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের কোনো কর্মসূচি নেই তার এ রকম ইচ্ছাও তিনি প্রকাশ করেননি। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন।

একটি সূত্র জানায়, ব্রিটিশ সরকারের কোনো মন্ত্রী বা বিরোধী দলীয় শীর্ষ নেতার সঙ্গে খালেদার সাক্ষাতের চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, বাঙালি বংশোদ্ভুত এমপি রুশনারা আলী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন এমন খবর আগে প্রকাশ করা হলেও এটিও হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। নিজের নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে রুশনারাও একান্তে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক নাও করতে পারেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন রুশনারার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।

এক্ষেত্রে একান্তে না পেলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশ বিষয়ক অলপার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সঙ্গে একটি বৈঠকের মাধ্যমে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের সঙ্গে খালেদার সাক্ষাৎ পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু সংসদের বাইরের একটি দলের প্রধানের সঙ্গে এপিপিজি এ বৈঠকে বসবে কিনা সেটিও নিশ্চিত নয়।

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক আব্বাস ফয়েজের সঙ্গেও বৈঠকের চেষ্টা চলছে। তবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে কিনা তা জানা যায়নি।
 
সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন
এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম খালেদা-তারেকের সঙ্গে বৈঠক করতে লন্ডন এসেছেন, এমন একটি গুঞ্জনও ছড়িয়েছে লন্ডন কমিউনিটিতে। তবে গুঞ্জনটির কোনো সত্যতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

সরকার দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ভারতসহ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে, এমন বার্তা দিতেই পরিকল্পনামাফিক এই গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে বলে মনে করছেন সরকার সমর্থক কেউ কেউ।

বিএনপির একটি সূত্র অবশ্য এই গুঞ্জন স্বীকার বা অস্বীকার না করে খালেদা-আশরাফ বৈঠক নেতৃত্বের প্রটোকল অনুযায়ী হয় না বলে মন্তব্য করেন বাংলানিউজের কাছে।

তারেক রহমানের সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের বৈঠক এমন গুঞ্জন হলেও কিছুটা হলেও বিশ্বাসযোগ্য মনে হতো, সূত্র এমনটিই দাবি করে।

খালেদা-তারেকের সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের বৈঠকের গুঞ্জন নিয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক সুলতান শরীফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজেদের জাতে ওঠাতে পরিকল্পনা করেই এমন গুজব ছড়াচ্ছেন খালেদা-তারেক। এতে সত্যের লেশমাত্র কিছু নেই।

তিনি বলেন, রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ঘাতকদের পৃষ্ঠপোষক, আগুন সন্ত্রাসের উদ্ভাবক খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন, এটি আমরা বিশ্বাস করিনা।

সুলতান শরীফ জানান, সৈয়দ আশরাফ এসেছেন একমাত্র তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে। হয়ত দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে তার বৈঠক হবে। এতটুকুই! আর কিছু নয়।
 
‘বাঙালিদের গৌরবহীন করার ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা’
সম্প্রতি, ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা গার্ডিয়ানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারকে পূর্ব লন্ডনের বাঙালিদের গৌরবহীন করার ষড়যন্ত্র বলে প্রচারণা চালাচ্ছে যুক্তরাজ্য বিএনপি।

রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে পূর্ব লন্ডনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উত্থাপন করে।

তাদের দাবি, দ্য গার্ডিয়ানের এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পূর্ব লন্ডনের ঐতিহ্য তথা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মূলধারার মিডিয়ার কাছে জঙ্গি হিসেবে তুলে ধরেছেন। ‘চরম দায়িত্বহীন’ এ মন্তব্যের পর ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যাবে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি।

যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
 
এখনও পারিবারিকভাবে সময় কাটছে খালেদার
এখনও চিকিৎসা বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি, পরিবারের সঙ্গে একান্তেই শুধু সময় কাটাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এমনটিই একটি সূত্র জানিয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মহিদুর রহমানসহ ২/১ জন সিনিয়র নেতা দলীয় চেয়ারপার্সনের সঙ্গে ইতোমধ্যে দেখা করেছেন বলে সূত্র জানায়। তবে গত শুক্রবার বিএনপি যুক্তরাজ্য শাখার সহসভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর নেতদাকর্মীদের সঙ্গে আর কোনো সাক্ষাৎ কর্মসূচিতে অংশ নেননি দলীয় চেয়ারপার্সন। যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক বাংলানিউজকে এমনটিই জানিয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লন্ডন এর সর্বশেষ