রোববার (৩ জুন) বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিবাসন নীতির গুরুত্বপূর্ণ এই পর্যালোচনার ঘোষণা দেন সাজিদ জাভিদ।
এসময় তিনি নেট মাইগ্রেশনের সংখ্যায় শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার বিষয় নিয়েও কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ বিবিসিকে বলেন, অভিবাসীদের চাপ কমাতে সরকার নেট মাইগ্রেশনের যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে তাতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার ফলেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, পড়ালেখা শেষ করে অধিকাংশ বিদেশি শিক্ষার্থীই তাদের নিজ দেশে ফিরে যান। তাতে অভিবাসনের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে না।
এছাড়া তিনি দক্ষ অভিবাসীদের যুক্তরাজ্যের ভিসা দেওয়ার নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার নিয়মটি সম্পর্কেও নতুনভাবে চিন্তা করা হবে বলে জানান।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বছরে ২০ হাজার ৭০০ এর বেশি দক্ষ বিদেশি কর্মীকে ভিসা দেওয়া হয় না। ফলে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, প্রকৌশলী যুক্তরাজ্যের ভিসা থেকে বঞ্চিত হন। এতে দেশটিতে মেধা ও মেধাবী কর্মী সঙ্কট প্রকট হয়ে উঠছে বলে সর্তক করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করার আশ্বাস দেন। সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়ে তিনি ইমিগ্রেশন নীতি ছাড়াও যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় তার গৃহীত কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরেন।
অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাজ্য থেকে বের করে দেওয়া নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ইস্যু বা উইন্ডরাশ কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে আম্বার রুডের পদত্যাগের পর গত এপ্রিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন সাজিদ জাভিদ। গদিতে বসার পরই অভিবাসন ইস্যুতে সমালোচনা সামালে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮
এইচএ/