বুধবার (১৩জুন) তাকে ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসে ফেরত ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আগামী ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ আনোয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহের তদন্ত চলবে।
আনোয়ার চৌধুরী ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশি তথা এশিয়ান যিনি ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত কোনো আইল্যন্ডের প্রধান বা গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। যুক্তরাজ্য থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মাইল দূরত্বে অবস্থিত এ দ্বীপপুঞ্জের গভর্নর হিসেবে ২৬ মার্চ রাজকীয় মর্যাদায় আনোয়ার চৌধুরীকে বরণ করে নেয় দ্বীপবাসী। এর তিন মাসের মাথায় বুধবার কেইম্যানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ার চৌধুরীর বরখাস্তের খবর জানানো হলেও কি কারণে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্য সরকারের ওভারসিস মিনিস্টার লর্ড নাজির আহমদ গর্ভনর পদ থেকে আনোয়ার চৌধুরীকে প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কয়েকটি অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে গভর্নর আনোয়ার চৌধুরীকে কেইম্যান আইল্যান্ড থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার (আনোয়ার চৌধুরী) বহিস্কারের বিষয়ে আইল্যান্ডের ডেপুটি গর্ভনর ফ্র্যাঞ্জ ম্যান্ডারসনকে অবহিত করা হয়েছে এবং তাকে ভারপ্রাপ্ত গভর্নরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও আইল্যান্ডের স্পিকার, কেবিনেট, সরকার ও বিরোধী দলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ২০১৩ সালে পেরুতেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন বিভাগের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। গভর্নর হিসেবে গত তিন মাস আনোয়ার চৌধুরী যে কেইমেন আইল্যান্ডের নেতৃত্ব দেন তার আয়তন মাত্র ২৬৪ বর্গ কিলোমিটার। এর রাজধানী জর্জটাউন; লোকসংখ্যা ৬০ হাজার।
প্রশাসনিক কাঠমো অনুযায়ী, গর্ভনর এ দ্বীপের প্রধান। ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শে রানী গভর্নর নিয়োগ দিয়ে থাকেন। বিশ্বের অন্যতম ফাইনান্সিয়্যাল সেন্টার হিসেবে পরিচিত কেইম্যান আইল্যান্ডের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয় ব্যাংকিং, হেজ ফান্ড, বিনিয়োগ এবং ক্যাপ্টিভ ইন্সুরেন্স ও সাধারণ করপোরেট কার্যক্রম ঘিরে। কেইম্যান আইল্যান্ড হলো বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ব্যাংকিং সেন্টার যেখানে ২৭৯টি ব্যাংক রয়েছে এবং এর মধ্যে ২৬০টি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের জন্য অনুমোদিত।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
এসএইচ