কুয়ালালামপুর: ছাত্রলীগ মানে ইতিহাস। বাংলাদেশের ইতিহাস জুড়েই রয়েছে ছাত্রলীগের ত্যাগের কথা।
গত বৃহস্পতিবার লিংকন কলেজের ছাত্রাবাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মালয়েশিয়া শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।
তিনি বলেন, ছাত্ররা আগামী দিনের ভবিষৎ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সফলতা এবং আন্দোলন সংগ্রামের পেছনে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ছাত্রলীগকে দেশে এবং প্রবাসে ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ সুনামের সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসাবে পরিচয় করতে সক্ষম হয়েছে। যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, নিরক্ষরতামুক্ত এক আধুনিক বাংলাদেশ। আজ যারা প্রবাসে পড়াশোনা করছেন প্রবাসেও তারা বাংলাদেশের সুনাম ও ভাবমূর্তি রক্ষা করে চলছে।
সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগ বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে সোনার বাংলাদেশ হিসাবে পরিচয় করাবে। আর এখানে এ ভূমিকা পালন করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মালয়েশিয়া শাখা।
মালয়েশিয়া ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা ও মালয়েশিয়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ পারভেজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনসুর আল বাসার সোহেল ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজামান মনির, আলমগীর হোসেন আলম, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এড. মিনহাজ উদ্দিন মিরান, সৈয়দ মিনহাজুর রহমান ও মালয়েশিয়া ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ও কলেজের নেতাকর্মীরা।
সম্মেলন পরিচালনা করেন ওয়াজেদ মজুমদার। সম্মেলনে সভাপতি ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করেন। মালয়েশিয়া ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, যুগ্ম- আহ্বায়ক এম এ মজুমদার ওয়াসিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আহ্বায়ক কমিটিতে আরো রয়েছেন, তরিকুল ইসলাম তারেক, এস এম মোসলেম উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান শোয়েব, মো. শিবলি নোমান, আবু সাহাত।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘন্টা, আগষ্ট ১৩, ২০১৪