কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের গন্তব্য বুকিত বিনতাং, আবাসিক হোটেল। মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় ৫টা ২০ মিনিট, আর বাংলাদেশের রাত ৩টা ২০ মিনিটে প্লেন থেকে নেমে আগেই ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করা হয়েছিল।
রাতের জার্নিটা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই হয়েছে। সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে পৌঁছে গেলাম কুয়ালালামপুর। ঘুম ঘুম চোখে গ্রাবের ট্যাক্সিতে চেপে আমরা চলতে থাকলাম। রাতে খানিক বৃষ্টি হয়েছে, মেঘ-শীতল পরিবেশে ভোর শেষে সূর্য তখনও উঠেনি। প্রশস্ত সড়কে দু'একটি গাড়ি চলছে।
প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাকের বাবা জালান তুন রাজাক সড়ক ধরে আমরা এগোচ্ছিলাম। এপারে চার লেন, ওপারেও চার লেন। আঁকাবাঁকা সড়ক, তবে কোনো শঙ্কা নেই। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকালে খুব বেশি মানুষ বের হয়নি। তবে চালক ইয়াজিদ বললেন, প্রতিদিনকার চিত্রই এমন। সিগন্যালগুলোতে হাতেগোনা কয়েকটি গাড়ি।
সড়কগুলো এতোটাই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, দেখে মনে হবে এই মাত্র ধুয়েমুছে দিয়ে গেছেন কেউ।
রাস্তার পাশে সবুজে ঘেরা পাহাড়। মানুষের হাত লাগলেও পাহাড়কে রক্ষার জন্যই পানি পড়ার নালা তৈরি করা হয়েছে। খাদে খাদে পাহাড়ের গায়ে লাগানো হয়েছে সবুজ বৃক্ষ।
৫৬ কিলোমিটারের রাস্তা পাড়ি দিয়ে ৫০ মিনিটেই আমরা পৌঁছে গেলাম বুকিত বিনতাং।
টুরিস্ট জেনে চালক নিজেই মালয়েশিয়ার নানা পর্যটন স্থানের কথা জানাচ্ছিলেন। এরইমধ্যে পার হলেন কয়েকটি ফ্লাইওভার, টোলপ্লাজা। মেকস হাইওয়ে হয়ে আসার পথে তিনটি টোল প্লাজা পাওয়া গেল। টোল প্লাজার কাছে এসে চালক স্মার্টকার্ড বের করে টাচ করলেন, উঠে গেলো বেরিয়ার। সেকেন্ডে সেকেন্ডে পার হলো একাধিক গাড়ি। প্রযুক্তির ব্যবহার এতোটাই বেশি করা হয়েছে যে সেখানে একজন মানুষকেও দেখা যায়নি টোল আদায়ের জন্য বসে থাকতে।
আবার টোল প্লাজায় স্মার্টকার্ড দিয়ে পরিশোধেরও ঝামেলা নেই। গাড়িতেই একটি মেশিন আছে যার সাহায্যে টোল প্লাজায় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই টাকা পরিশোধ হয়ে যায়। টোল প্লাজায় এই দুইভাবে পরিশোধের জন্য আবার আলাদা আলাদা লেন আছে।
এই স্মার্টকার্ড দিয়ে অনেক সেবাই পাওয়া যায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআর