মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ের জালান ইম্বি’র একটি হোটেল থেকে মালয়েশিয়া পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বুকিত আমানের সদস্যরা তাকে আটক করে।
এরআগে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়া পুলিশ তাকে আটক করে মালিন্দো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠায়।
জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জড়িত সন্দেহে মালয়েশিয়া পুলিশের ফেরত পাঠানো এক সময়কার শিবিরকর্মী পেয়ার আহমেদ আকাশকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ আকাশকে জামিন দেন।
জামিনে বের হয়ে আকাশ মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে তাকে দেখা যায়। আকাশকে বাংলাদেশে পাঠানোর সময় মালয়েশিয়ান পুলিশ বুকিত আমান ও মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন পুলিশ তার দুই হাতের দশ আংগুলের ছাপ রাখেন এবং আজীবনের জন্য মালয়েশিয়ায় নিষিদ্ধ করেন। এত কিছুর পরও বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার আইনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে কুয়ালালামপুর শহরে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াতে থাকে আকাশ।
চট্টগ্রামের আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্রের মধ্য থেকে খোয়া যাওয়া একটি একে-৪৭ বন্দুক বিক্রির সময় ২০০৫ সালের ১৯ আগস্ট ফেনী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সংলগ্ন হারুনের বাড়ির সামনে র্যাবের হাতে আটক হন আকাশ।
পেয়ার আহমেদ আকাশ ফেনী শহরে শাহীন একাডেমি স্কুল থেকে ১৯৯৩ সালে এসএসসি পাশ করেন। স্কুলে পড়ার সময় বোনের স্বামী (দুলাভাই) ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আবু ইউসুফের হাত ধরে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে তিনি অস্ত্র-ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। আকাশ দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এসএম/এনটি