রোববার (২ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে। আটক নথিহীন অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমার, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, চীন, ভিয়েতনাম, ভারত ও নেপালের নাগরিক রয়েছেন।
বৈধ নথিপত্রহীন বিদেশি শ্রমিকদের স্বদেশে ফেরত যেতে বেঁধে দেওয়া আলটিমেটাম বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) শেষ হওয়ার পর এই সাঁড়াশি অভিযানে নামে অভিবাসন দফতর। তার আগে অবশ্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে অবৈধ শ্রমিকদের আট হাজার টাকা শোধ করে স্বদেশে ফেরত যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
অভিযানে ধরপাকড়ের বিষয়ে কুয়ালালামপুরভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন নর্থ সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা বলেন, আটক অভিবাসীদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি থাকতে পারে।
এ বিষয়ে রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফা আলী বলেন, পুরো মালয়েশিয়ায় চালানো অভিযানে পাঁচ হাজারেরও বেশি বিদেশির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫০০ জনের নথি বৈধ না হওয়ায় তাদের আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। আমরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় নিবন্ধন করে ফেরত যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিলাম, এরপর অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, বান্দাক বারু সালাক তিঙ্গি এলাকায় অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। সেসময় একজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন।
ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে নয় হাজারের বেশি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয় ২৯ হাজার ১১৭ জনকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, মালয়েশিয়ায় ১০ লাখের মতো বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই বৈধ নথিপত্র ছাড়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/