মঙ্গলবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর) কুয়ালালামপুরে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার হিউম্যান রিসোর্স মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কুলাসেগারানের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হন। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে বাংলাদেশি বৈধ সব রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো যাবে। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণের বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের জাতীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বন্ধুপ্রতিম দেশ মালয়েশিয়া ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করার জন্য ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের দ্বার উন্মোচিত হয়।
এদিকে মালয়েশিয়ার শ্রমিক পাঠানোর লক্ষ্যে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কুয়ালামাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার শহিদুল ইসলাম।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সেলিম রেজা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন, মন্ত্রীর একান্ত সচিব (যুগ্মসচিব) আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শাহীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোশাররফ হোসেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব সানজিদা শারমিন। এছাড়াও সভায় মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) সায়েদুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদশে সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বের ২৫, ২০১৮
টিআর/এসএইচ