নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন গত চার মাস ধরে নষ্ট। এতে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা।
বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে সেবা নিতে হচ্ছে তাদের। এতে করে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে সেখানের নিম্ম আয়ের মানুষদের। এছাড়া দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।
সূত্র জানায়, ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর ডিজিটাল কোনো এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন সরবরাহ করা হয়নি। ২০২০ সালে কমপ্লেক্সে অ্যানালগ এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যুক্ত হয়। কিন্তু দুটি যন্ত্র ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ে। বছরের বেশিরভাগ সময় যন্ত্র দুটি নষ্টই থাকে। মেরামত করা হলেও কয়েক দিন চলার পর আবারও নষ্ট হয়ে যায়।
সবশেষ গত চার মাস ধরে হাসপাতালের এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র নষ্ট হয়ে আছে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান জানান, এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র মেরামত কিংবা নতুন যন্ত্র সরবরাহের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক চিঠি দিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন প্রায় ৬০০ রোগী সেবা নিতে আসেন। এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করার প্রয়োজন পড়ে অনেক রোগীর। হাসপাতালে প্রতিবার এক্স-রের জন্য খরচ হয় ৫৫ থেকে ৭০ টাকা। আলট্রাসনোগ্রামের খরচ প্রতিবার ২২০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
এসএএইচ