ঢাকা: ঢাকার বিখ্যাত নৃত্যদল কল্পতরু ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ভারতের মর্যাদাপূর্ণ ‘বালি যাত্রা উৎসব-২০২৪’ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। উৎসবটিকে এশিয়ার বৃহত্তম উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক মেলা হিসেবে গণ্য করা হয়।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, প্রতিবছর ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। গত ৭-২২ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সাতদিনের উৎসবে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও স্লোভাকিয়ার উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী অংশ নেয়। বাংলাদেশের নয় সদস্যের নৃত্য দলটি ওড়িশা রাজ্য সরকার দ্বারা আমন্ত্রিত ছিল।
ভারতে পৌঁছালে বাংলাদেশি শিল্পীদের ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। ‘সাধনা’র একটি সহযোগী সংগঠন হিসেবে ‘কল্পতরু’ নৃত্য বিদ্যালয়ের নয়জন শিল্পী উৎসবে জমকালো পরিবেশনা প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গানের দ্বারা অনুপ্রাণিত নাচের একটি সিরিজ। তাদের পারফরম্যান্সগুলো প্রথাগত ও সমসাময়িক উপাদানগুলোকে নির্বিঘ্নে মিশ্রিত করেছে, যা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
‘বালি যাত্রা’ উৎসব দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক। উৎসবটি ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পকে যুক্ত করে এমন ভাগাভাগি করা ঐতিহ্যের অটুট বন্ধনকেও তুলে ধরে।
‘কল্পতরু’র অধ্যক্ষ ড. লুবনা মারিয়াম উৎসবে দলটির অংশগ্রহণে গর্ব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গভীর ও বহুমুখী। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তা আমাদের সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উৎসবে বাংলাদেশের নৃত্যদলের অংশগ্রহণকে দুদেশের মধ্যে শক্তিশালী জনগণের সম্পর্কের আরেকটি উদাহরণ, পারস্পরিক সহানুভূতি এবং তাদের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতিফলন হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা তাদের একত্রে আবদ্ধ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৪
টিআর/আরবি