ঢাকা: অনেক অপেক্ষার পরে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে বহুল প্রতিক্ষীত সেই মেট্রোরেলের দরজা খুলছে সাধারণ মানুষের জন্য।
এদিন আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। তবে যাত্রীদের অধিকাংশই শুধুই মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য এসেছেন।
৭ বছর বয়সী ছেলের মেট্রোতে চড়ানোর আবদার রাখতে সপরিবারে গুলশান থেকে এসেছেন মো. হাবিব। তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এইটা খুবই আনন্দের বিষয় আমাদের জন্য, আমরাও এখন আধুনিক রাষ্ট্রে রুপান্তর হচ্ছি। ছেলে সাপ্তাহখানে ধরে টিভিতে মেট্রোর প্রচার প্রচারণা দেখে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মেট্রোরেলে চড়ার। সেই আবদার মেটাতেই সকালে এখানে এসেছি।
মেট্রোরেলে চড়ার প্রথম অভিজ্ঞতা নিতে বসিলা ঘাটারচর থেকে এসেছেন মো. সাব্বির আহমেদ হোসেন। তিনি বলেন, দেশে প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়েছে, সে মেট্রোতে চড়ার অভিজ্ঞতা নিতেই এখানে আসা। ভোরেই রওনা দিয়েছিলাম, আসতে আসতে দেখি অনেকেই আগে থেকেই লাইনে অপেক্ষা করছে মানুষ। আজ মেট্রোরেলে চড়তে পারলে জীবনে এক ব্যাতিক্রমধর্মী অভিজ্ঞতা হবে।
সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিজ চোখে দেখতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে দাবি করেন সোলাইমান নামে এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় একজন হোটেল কর্মচারী। গুলিস্তান থেকে রাতেই কারওয়ান বাজার চলে আসছিলেন। সেখানেই রাত যাপন করেন শুধুমাত্র সবার আগে মেট্রোরেলে চড়ার জন্য। তবুও কিছুটা দেরি করে ফেলেছেন।
সোলাইমান বলেন, আমি পদ্মা সেতুতে উঠার জন্য আগের দিন রাতেই পত্রিকা নিয়ে রাস্তায় ঘুমিয়েছিলাম। কর্নফুলি টানেলে যাইতে না পারলেও আশপাশ ঘুরছি। এখন মেট্রোরেলে চড়তে গতকাল রাতেই ফার্মগেট চলে আসছি। যেন দেরি না হয়।
কিভাবে মেট্রোরেলে চড়তে হয় তা জানা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই যেইভাবে চড়ে আমিও সেইভাবে চড়বো।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
এমএমআই/জেডএ