ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শরীয়তপুরের কীর্তিনাশার সংযোগ খালে এখন আর নৌযান চলে না

মো. রোমান আকন্দ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
শরীয়তপুরের কীর্তিনাশার সংযোগ খালে এখন আর নৌযান চলে না

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর পৌরসভার আংগারিয়া বাজারের সঙ্গে কীর্তিনাশা নদীর সংযোগ খাল এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। খালের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে নৌযান চলাচল।

অন্যদিকে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে আশপাশের জনবসতিতে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগ-জীবাণু।

সরেজমিন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার আংগারিয়া বাজার। কীর্তিনাশা নদীর তীরে এই বাজারটি আংগারিয়া বন্দর নামেই বেশি পরিচিত। বাজারটিতে বিভিন্ন এলাকার কৃষিপণ্য বিক্রি করা হয়। বাজারের পণ্যসামগ্রী নৌপথে আনা-নেওয়ার সুবিধার জন্য প্রায় ৫০ বছর আগে অর্থাৎ ৭০ এর দশকে ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই খালটি খনন করা হয়। খালটি কীর্তিনাশা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। খালের তীর ঘেঁষে জেলা খাদ্যগুদাম। কীর্তিনাশা নদী থেকে খালটি দিয়ে নৌযানে বাজার ও খাদ্যগুদামে পণ্য আনা-নেওয়া করা হতো। তবে বর্তমানে খালটি ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। এ কারণে খালটি প্রবাহ নষ্ট হয়ে একটি বিশাল আকৃতির ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। ফলে চলাচল করতে পারছে না কোনো প্রকার নৌযান। এছাড়াও ময়লা আবর্জনা পচে দুর্গন্ধে আশপাশ দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। অচিরেই খালটি উদ্ধারের দাবি সচেতন মহলের।  

আংগারিয়া এলাকার সালাম, সবুজসহ অনেকেই বলেন, আংগারিয়া বাজারের পাশে যে একটি খাল ছিল তা এখন অবিশ্বাস্য মনে হবে। এই খালটি দিয়েই ছোটবেলায় নৌযানে করে যাতায়াত করতাম। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে এখন ওই খালের ধারে কাছেও যাওয়া যায় না। ময়লা-আবর্জনা থেকে পাড়া-মহল্লায় রোগ-জীবাণু ছড়াচ্ছে।  

এ ব্যাপারে আংগারিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল হক মোল্যা বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার পাশাপাশি কিছু স্থানে খাল দখল করাও হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এখনো দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পৌরসভার কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। আমরা ডাম্পিং ইয়ার্ড করার জন্য জমি খুঁজছি। জমি পাওয়া গেলে ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা যাবে। তখন ময়লা-আবর্জনা ফেলার সমস্যা থাকবে না। আর খাল পুনরুদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আংগারিয়া বাজার সংলগ্ন কীর্তিনাশা খালটিতে পানির প্রবাহ নেই এমন তথ্য জানা ছিল না। পরিদর্শন করে দেখব। প্রয়োজনে খালটি খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।