বান্দরবান: বান্দরবানের বিভিন্ন মৌজায় চলছে জুম খাজনা আদায়ের অনুষ্ঠান 'অলুংজাঃ পোয়ে'।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার ৩৪০ নম্বর তারাছা মৌজা হেডম্যান এর বর্ণাঢ্য আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জুমিয়াদের কাছ থেকে খাজনা বাবদ একর প্রতি ৬ টাকা ৫০ পয়সা, উপঢৌকন হিসেবে দেশি মুরগি ও পাহাড়িদের তৈরি এক বোতল মদ এবং নজরানা হিসেবে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়। কারবারীরা (পাড়া প্রধান) প্রণাম জানিয়ে হেডম্যানকে এই খাজনা দিয়ে থাকেন। আর আদায়কৃত এ খাজনার একটি অংশ সার্কেল চীফ (রাজার) এর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অনুষ্ঠানে তারাছা মৌজার হেডম্যান উনিংহ্লা মারমা, তারাছা মৌজার প্রবীণ ব্যক্তি মোহাম্মদ আব্দুল গফুর, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হকসহ তারাছা মৌজার ১৪টি পাড়ার কারবারী (পাড়া প্রধান) ও মৌজাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
তারাছা মৌজার হেডম্যান উনিংহ্লা মারমা বাংলানিউজকে জানান, মূলত বান্দরবানে প্রতি বছরের শেষে জুম খাজনা আদায় করা হয়। বোমাং সার্কেলের রাজারা ১৮৭৫ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানটির প্রচলন শুরু করেন। তবে কালের বিবর্তনে এটি এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। অনেক হেডম্যান (মৌজা প্রধান) অনানুষ্ঠানিকভাবে আদায় করে দিনব্যাপী নানা বর্ণিল আয়োজনের ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক সংকট ও করোনা পরিস্থিতির কারণে বান্দরবানে গত দুই বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ (রাজমেলা) অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আর এ কারণে হেডম্যান, কারবারীরা ও ঠিকভাবে তাদের জুম খাজনা আদায় করে বোমাং রাজাকে জমা দিতে পারছে না। তাই খাজনা আদায় অনুষ্টানে আগত বেশিরভাগ কারবারী ও মৌজাবাসী আবারও রাজপূণ্যাহ মেলা আয়োজনের আবেদন জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
এফআর