ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত রুশ জাহাজ ভিড়ছে কলকাতার হলদিয়া বন্দরে

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত রুশ জাহাজ ভিড়ছে কলকাতার হলদিয়া বন্দরে

ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার জাহাজটি কলকাতার হলদিয়া বন্দরে ভিড়তে যাচ্ছে। সেখান থেকে সড়ক পথে জাহাজের মালামাল বাংলাদেশে পৌঁছাবে।

সূত্র জানায়, রাশিয়ার পতাকাবাহী উরসা মেজর নামের এই জাহাজটি বাংলাদেশের বন্দরে ঢুকতে না পেরে কলকাতার হলদিয়া বন্দরে ভিড়তে যাচ্ছে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জাহাজটি ওই বন্দরে ভিড়বে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে সড়ক পথে জাহাজটির পণ্য বাংলাদেশে আনা হবে।

বাংলাদেশ, রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে রুশ জাহাজটি কলকাতার হলদিয়া বন্দরে ভিড়তে যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রুশ জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। সে কারণে রুশ জাহাজ ভারতের বন্দরে ভিড়তে কোনো সমস্যা নেই।

ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে বেশ কয়েকটি জাহাজ বাংলাদেশে ভিড়েছে। তবে সেসব জাহাজের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এবার উরসা মেজর নামে যে জাহাজটি বাংলাদেশের ভিড়তে চেয়েছিল, সেই জাহাজটির প্রকৃত নাম স্পার্টা-৩। আর এই স্পার্টা-৩ নামের জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়া এই জাহাজটির নাম বদলে রেখেছে উরসা মেজর। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার মুখে রুশ জাহাজটি বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনি। রাশিয়ার পতাকাবাহী উরসা মেজর নামে এই জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর ছেড়ে আসে। গত ২৪ ডিসেম্বর জাহাজটির বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল।

তবে ওই জাহাজ বাংলাদেশে আসার আগেই যুক্তরাষ্ট্র ঢাকাকে জানায়, উরসা মেজর নামে জাহাজটি আসলে স্পার্টা থ্রি নামে রাশিয়ার মালিকানাধীন একটি জাহাজ। এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। এই জাহাজটিকেই নাম বদলে নতুন নাম উরসা মেজর হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া আছে। নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন জাহাজটিকে বাংলাদেশে ভিড়তে দিলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ওপর চাপ ছিল জাহাজটিকে ভিড়তে দেওয়ার। বিষয়টি বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত গড়ায়। গত ২২ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ কোনো নিষিদ্ধ জাহাজ ভিড়তে দেবে না। সেদিন ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এ কথা জানিয়ে দেয় সরকার।

ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার মান্তিৎস্কি জাহাজটি ঢোকার জন্য বাংলাদেশে ভেড়ার জন্য অনুরোধও করেছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে তিনি এই অনুরোধ জানান। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেই অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে জাহাজটি ভারতের দিকে যাত্রা শুরু করে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
টিআর/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।