ঢাকা: দেশে চালু হয়েছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। যারা কাজ ও দূরত্বের কারণে এখনো সেই রেলে ভ্রমণ করতে পারেননি, এমন অনেকেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি বেছে নিয়েছেন প্রিয়জন নিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণের।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে এ ভিড় দেখা যায়।
আগারগাঁও স্টেশনের বাইরে স্টেশনে ঢোকার উভয় প্রবেশপথেই যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। যাত্রীদের আগারগাঁও থেকে পাসপোর্ট অফিসের দিকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
কবিরুল হাসান নামে স্টেশনের ভেতরে টিকেট কেটে অপেক্ষা করা এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বাড়ি যশোরে, ঢাকায় একটি কাজে এসেছিলাম। আমি দেশের বাইরে বেশ কয়েকবার মেট্রোরেলে উঠেছি, নিজের দেশের মেট্রোরেল চালু হয়েছে তাই পরিবার নিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে এসেছি। নিজ দেশে মেট্রোরেল হয়েছে এটা আমদের জন্যে অনেক গর্বের। আশা করি ভবিষ্যতে এটা আরও বেশি সম্প্রসারিত হবে।
শেওড়া পাড়াবাসী জাহান নামে আরেক যাত্রী বলেন, বাড়ির কাছেই মেট্রোরেল চালু হয়েছে কিন্তু সময়ের অভাবে উঠতে পারিনি। তাই আজ ছুটির দিনে এসেছি। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে আরও অনেক ভালো হতো বলেও তিনি যোগ করেন।
কমলাপুরের এজিবি কলোনি থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে আবিদাকে নিয়ে মেট্রোরেল দেখতে এবং ভ্রমণ করতে এসেছেন জাহানারা আক্তার। তিনি বলেন, কমলাপুর থেকেও অনেক সুন্দর ও পরিষ্কার পরিছন্ন মেট্রোরেলের স্টেশন। এত সুন্দর এই স্থাপনা দেখে ভালো লাগছে, ট্রেনে উঠলে আরও ভালো লাগবে।
মেট্রোরেলের স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মারুফ নামের একজন বলেন, আজ ছুটির দিন হওয়ার যাত্রীদের অনেক চাপ রয়েছে। সপ্তাহের অনান্যদিনেও ভিড় থাকে তবে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনে বেশি চাপ থাকে যাত্রীদের।
মেট্রোরেলের টিকেট কাটার মেশিনে কি ধরনের সমস্যা হয় জানতে চাইলে স্টেশন সংশ্লিষ্ট একজন জানান, মেশিনে যাত্রীরা ছেড়া টাকা, অনেক পুরাতন টাকা দেওয়ার কারণে কিছুটা সমস্যা হয়। তখন সেই মেশিন ঠিক করতে ১৫-২০ মিনিট লেগে যায়। পুরাতন ও ছেড়া টাকা না দিলে কোনো সমস্যা হয় না। তাই যাত্রীদের ছেড়া এবং পুরাতন টাকা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
আরকেআর/এসআইএস