গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সুফি বেগম (৫০) মারা গেছেন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
অপরদিকে দেবর লিয়াকত মোল্লাকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে পুলিশ তাকে ঢাকা থেকে আটক করে। একইদিন সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাঁপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগেও ওই দেবর তার ভাবির মাথার চুল কেটে দিয়েছিল। পরে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেওয়া হয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাঁপা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার সঙ্গে তার আপন ভাই লিয়াকত মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। অভিযুক্ত লিয়াকত মোল্লা একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য। তিনি তার পৈতৃক সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ বিক্রি করে চলে যাযন। কিন্তু এখনো তিনি সম্পত্তি দাবি করেন। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে লিয়াকত তার ভাবি সুফি বেগমকে ঘর থেকে বাইরে এনে উঠানে থাকা পেয়ারা গাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
পরে স্বজনরা তাকে প্রথমে কাশিয়ানী হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠায়। সেখানে বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর লিয়াকত মোল্লাকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
** ভাবিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে আগুন দিলেন দেবর!
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
আরএ