ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সড়কে নড়ছেই না গাড়ি, তীব্র জট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
সড়কে নড়ছেই না গাড়ি, তীব্র জট গাড়ির দীর্ঘ সারি। ছবি: মেহেদী হাসান শিপন

ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভয়াবহ যানজট রাজধানীতে। সকাল থেকেই এয়ারপোর্ট রোড, উত্তরা ও কালশীর রোডে গাড়ি বলতে গেলে নড়ছেই না।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীসহ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ফার্মগেটগামী যাত্রী আমানত আলী বলেন, আমি ফার্মগেট যাওয়ার জন্য কালশীর মোড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করেছিলাম। দেখলাম কালশী মোড় হয়ে ইসিবি পর্যন্ত জ্যাম। কোনো গাড়ি সামনে যাচ্ছিল না।  

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিন শেষ কর্ম দিবস হওয়ার রাস্তা একটু জ্যাম থাকে। কিন্তু আজ বেশি। বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ায় উত্তরা ও এয়ারপোর্ট রোডে যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। রাস্তা পরিবর্তন করে বাসে যাচ্ছি ফার্মগেট।  

বসুন্ধরাগামী যাত্রী মো. মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় অনেক যানজট। এ কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল যেতে চাইছে না। বাধ্য হয়ে উঠেছি গণপরিবহনে। এখন ভেঙে-ভেঙে যেতে হবে বসুন্ধরা।  

রাজধানীতে আজ তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।  ছবি: তৃষ্ণা

তিনি আরও বলেন, কালশীর মোড়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে জ্যামে বসে আছি। একটুও বাস এগোচ্ছে না। আমার অফিস ডিউটি ছিল ৯টা থেকে। আজ দেরি হয়ে যাবে অফিস যেতে।

বনানীগামী যাত্রী বেসরকারি কর্মকর্তা এসএম মুজাহিদ বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় যানজট। সকালে আমি মিরপুর থেকে বনানীর উদ্দেশ রওনা দিয়েছিলাম। আমার পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা।  

মিরপুর ১৪ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত হেঁটে আসা আয়শা আক্তার তৃষ্ণা বাংলানিউজকে বলেন, সাড়ে ৮টায় বাসে রওনা দিয়ে ইসিবি পর্যন্ত আসি সোয়া ৯টায়। এরপর সোয়া এক ঘণ্টা হেঁটে অফিসে পৌঁছেছি। ব্যস্ত সড়কে যেন গাড়ি নড়ছেই না। এমন অবস্থা যে, ঠিকঠাক পায়ে হেঁটে আসারও উপায় নেই।

মহাখালী থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত মোটরসাইকেলে আসা সাঈদ আল হাসান শিমুল বলেন, চরম ভোগান্তি যাকে বলে। মহাখালী থেকে বিশ্বরোড হয়ে প্রগতি সরণি বড়জোর ৯ কিলোমিটার। এই পথ মোটরসাইকেলে আসতে আমার আড়াই ঘণ্টা লেগেছে। মহাখালী থেকে বনানী ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত এই এক কিলোমিটারের কম রাস্তা আসতেই লেগে গেছে এক ঘণ্টা। এরপর বনানী ফ্লাইওভারের নিচে গাড়ির চাকা আধাঘণ্টা ধরে এক ইঞ্চিও নড়েনি। এমন জ্যাম কি শুধু ইজতেমার জন্য? ঠিক বুঝতে পারছি না।

বিকল্প পরিবহনের কন্ডাক্টর মো. রহমান বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র এক ট্রিপ মেরেছি। রাস্তায় জ্যাম আছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় আরও বাড়তে শুরু করেছে যানজট।

ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, সড়কে ভয়াবহ যানজট। প্রাথমিকভাবে দেখতে পাচ্ছি ইজতেমার কারণে যানজট। আর অতিরিক্ত যানবাহ তো আছেই। যানজট নিরসনে আমরা সকাল থেকে কাজ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩

এমএমআই/এজেডএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।