মাদারীপুর: একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দরিদ্র কৃষক আনোয়ার শিকদারের সহধর্মিণী পিংকি। গত ৭ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে হয় পিংকির।
তবে ৪ সন্তানের চিকিৎসা খরচ জোগাতে গিয়ে অর্থাভাবে বিপাকে পড়েছেন তারা। হাসপাতালের বিল মেটাতে পারছেন না এ দম্পতি।
সন্তান জন্মের পরই শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ৪ সন্তানকে রাখতে হয় আইসিইউতে।
প্রতিদিন হাসপাতালের চিকিৎসা খরচসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার জোগান দিতে হয় দরিদ্র কৃষক আনোয়ার শিকদারের। যা তার পক্ষে মেটানো একেবারেই অসম্ভব। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছে ইতোমধ্যে অনেক ঋণ নিয়ে ফেলেছেন তিনি।
সন্তানদের চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন জানিয়ে এ দরিদ্র কৃষক বলেন, আল্লাহ আমাকে একসঙ্গে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে দিয়েছেন। এতে আমি, আমার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই অনেক খুশি। তবে চার সন্তানই আইসিইউতে ছিল। প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার টাকা করে লেগেছে। এখনও এক সন্তান আইসিইউতে আছে। একজনকে বেডে আনা হয়েছে। বাকি দুই সন্তানকে বাসায় নিয়ে এসেছি। সন্তানদের বাঁচাতে আত্মীয়-স্বজন সকলের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে খরচ করছি। এখন আর কোনো পথ নাই। কি করব বুঝতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, সন্তানদের চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
জানা গেছে, প্রায় ৭ বছর আগে শিবচর উপজেলার সন্নাসীরচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মো. ইনসান শরীফের মেয়ে পিংকি আক্তারকে বিয়ে করেন কৃষক আনোয়ার শিকদার। তার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নের বেপারীকান্দি ক্লাব বাজার গ্রামে। একটি ছেলের আশায় এই দরিদ্র দম্পতি দীর্ঘদিন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করেন। বিয়ের ৭ বছর পর গৃহবধূ পিংকি দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হন।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে পিংকির প্রসব ব্যথা উঠলে প্রথমে তাকে শিবচরের পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে তাকে ওইদিনই দুপুরে ঢাকায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে একইদিন রাত ৮ টার দিকে সিজারের মাধ্যমে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের জন্ম দেন পিংকি আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
এসএএইচ