ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রকল্প সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ছিল। কিন্তু ৮০০ কোটি টাকা কোম্পানিকে না দেওয়ায় সময় বেড়ে এ প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, এই ডিলে হওয়ায় (দীর্ঘসূত্রিতা) ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সিলেট বিভাগ যোগাযোগ ও উন্নয়ন পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, সিলেটের উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকার সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় মৌলভীবাজারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সাফারি পার্ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া মাধবকুণ্ডে ক্যাবল কার স্থাপনের প্রক্রিয়াও চলমান আছে।
সিলেটের নৌ যোগাযোগ উন্নয়ন করা হচ্ছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা নৌরুট করিমগঞ্জ (ভারত) পর্যন্ত চালুর বিষয়ে কথা চলছে। সেটা না হলেও যেন জকিগঞ্জ পর্যন্ত চালু হয়।
সিলেটের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসে যাওয়ার আগে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। মেয়েরা ঠিক আছে, কিন্তু ছেলেরা এইট-নাইনে উঠলেই পাসপোর্ট বানিয়ে বাইরে চলে যায়। এভাবে বাইরে ভাল কাজ করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যাবে না। তার জন্য শিক্ষা নিতে হবে। সিলেটে আগে ১৩ জন সচিব ছিল, এখনেআছে মাত্র ২ জন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, হাফিজ আহমেদ মজুমদার এমপি, শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
এনবি/এমএমজেড