ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মিরসরাইয়ে চার পায়ের শিশুর জন্ম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
মিরসরাইয়ে চার পায়ের শিশুর জন্ম

ফেনী: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম দিলেন নাছরিন আক্তার নামে এক গৃহবধূ। উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

 

ওই গৃহবধূ ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার বাগানবাজার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাতির খেদা গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ২টার দিকে গৃহবধূ নাছরিন আক্তার (১৮) প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার ভোর ৫টার সময় হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগে অভিজ্ঞ ডা. মারিয়া কিবতিয়ার তত্বাবধানে ওই গৃহবধূ ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জম্ম দেন। শিশুটির ৪ পায়ের মধ্যে ২টি পা ক্লাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২টি পা অস্বাভাবিক। এছাড়া শিশুটির মেরুদণ্ড মেনিগোসিল। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮’শ গ্রাম। শিশুটির মা পুরোপুরি সুস্থ্ থাকলেও শিশুর হালকা শ্বাস কষ্ট রয়েছে।

ওই গৃহবধূর স্বামী সাইদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ১১ মার্চ আমাদের একই গ্রামের হানিফ কোম্পানীর ছোট মেয়ে নাছরিন আক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। একই বছর বিবাহের ৯ মাসের সময় একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় আমার স্ত্রী। কিন্তু সেই শিশুটি ডেলিভারীর সময় মারা যায়। এরপর ২ বছরের ব্যবধানে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে দ্বিতীয় শিশুর (কন্যা) জন্ম হয়। তবে স্বাভাবিকভাবে ৪ পা বিশিষ্ট শিশুটির জন্ম হয়। এই অস্বাভাবিক কন্যা সন্তান নিয়ে আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন সবার মধ্যে দুশ্চিন্তার চাপ।

শেফা ইনসান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগে অভিজ্ঞ ডা. মারিয়া কিবতিয়া বলেন, সোমবার রাত ২টার দিকে গৃহবধূ নাছরিন আক্তার প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার ভোর ৫টার সময় ওই গৃহবধূর ৪ পা বিশিষ্ট কন্যাশিশুর জম্ম হয়।

শেফা ইনসান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এ ফারুক বলেন. শিশুটির ৪ পায়ের মধ্যে ২টি পা ক্লাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২ টি পা অস্বাভাবিক। তার মেরুদণ্ড মেনিগোসিল। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮’শ গ্রাম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ 
এসএইচডি/এসএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।