ঢাকা: জাতীয় সংসদে বুধবারের (১৮ জানুয়ারি) অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক বক্তব্যের আপত্তি জানান সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। এ সময় তিনি বলেন, আরে আমাকে বলতে দিন, হইচই করছেন কেন?
প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়ে চুন্নু বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে একটি প্রশ্ন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সে পর্ব তো শেষ হয়ে গেল।
এ সময় স্পিকার বলেন, আপনি পরে কোনো একদিন বলবেন।
চুন্নু বলেন, আমি পয়েন্ট অব অর্ডারে বলছি...। এখন কিন্তু দুটি বিষয় খুব আলোচনায় এসেছে। প্রথমত ৪৫০ কোটি ডলারের আইএমএফের যে ঋণ, সেই ঋণের বিষয়টি। এটি পাওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঋণের কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, অনতিবিলম্বে গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে। এতে কৃষির সামগ্রিক উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। যদি বেড়ে যায়, তাতে অর্থনৈতিক যে চাপ আছে তা বাড়বে, ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে, সরকারের ওপর চাপ বাড়বে। কীভাবে সরকার এর মোকাবিলা করবে?
চুন্নু বলেন, ইতোমধ্যে একজন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু আমাদের দেশে এসেছিলেন। উনি পাকিস্তান সফরের পরে পাকিস্তান ইনসাফ যে দল, সে দল ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যায়। এই ভদ্রলোক আসার পরে অনেকে মনে করেছিল এদেশেও কিছু একটা হয়ে যাবে। তবে তিনি যাওয়ার পরে সরকারকে বেশ খুশি খুশি লাগছে। আর অন্য দলটিও দেখছি বেশ খুশি। তবে আমরা জাতীয় পার্টি সেভাবে নিচ্ছি না, স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছি। তবে তার সফর নিয়ে রাজনৈতিকভাবে একটি গুঞ্জন আছে। অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে কিছু একটা হয় কি না।
তখন সংসদে এই বক্তব্যের আপত্তি জানাতে থাকেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। চুন্নু তাদের বলেন, আরে আমাকে বলতে দিন, হইচই করছেন কেন?
এর পরে স্পিকার তার মাইক বন্ধ করে দেন, বসতে অনুরোধ করেন। তার পরও চুন্নু তার বক্তব্য দিয়ে যেতে থাকেন।
পরে স্পিকার আবার মাইক চালু করেন। চুন্নুকে বলতে শোনা যায়, এ বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি উত্তর দেন তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে, জাতি জানবে।
পরে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নের উত্তর দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসকে/আরএইচ