খুলনা: শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে খুলনা জেলার তিন উপজেলার ও তিন থানার ২৭২ জন শ্রমিককে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরস্থ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব শ্রমিক ও তাদের সন্তান-পরিজনদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং খুলনা-৩ আসনের এমপি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৩০ সালের আগেই শিশুশ্রম মুক্ত নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করবে সরকার। কোনো শ্রমিক অসহায় থাকবে না। আর আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশ।
তিনি বলেন, আমি আজ ৫০ বছর শ্রমিকদের পাশে আছি। জীবনের বাকি দিনগুলো এদেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করে যাব।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুলনার পাটকলগুলো শিগগিরই উৎপাদনে যাবে। খুলনা একটি শ্রমঘন অঞ্চল, লাখো শ্রমিকের বসবাস। এজন্য শ্রমিক ভাইয়েরা অসুস্থ হলে অসহায় বোধ করবেন না। আপনাদের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রমবান্ধব সরকার আছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে শ্রমিকদের আরও বেশি বেশি সহায়তা দেওয়া হবে।
খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে খুলনার দৌলতপুর, খালিশপুর, খানজাহান আলী থানা, দিঘলিয়া, ডুমুরিয়া এবং ফুলতলা উপজেলার ২৬৫ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে এক কোটি ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, দু’জন মৃত শ্রমিকের দাফনের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং শ্রমিকের ৫ জন মেধাবি সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে দুই লাখ ২০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এমআরএম/এমএমজেড