ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারী সদরের ইউএনওকে অপসারণের দাবি ১৫ চেয়ারম্যানের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
নীলফামারী সদরের ইউএনওকে অপসারণের দাবি ১৫ চেয়ারম্যানের

নীলফামারী: নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, অসদাচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা ও সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তুলেছে তার অপসারণ দাবি করেছেন উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।  

এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সাত দিন সময় চেয়েছেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি।

চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউএনও চেয়ারম্যানদের অবমূল্যায়ন, অশ্লীল ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য আচরণ, গ্রাম পুলিশ নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি, বাস্তবায়ন করা টিআর/কাবিখা তদন্ত করার নামে হয়রানি করেন। প্রকল্পের কাজে ২০ শতাংশ উৎকোচ গ্রহণ, ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) কার্ডের তালিকা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দিয়ে যাচাই-বাছাই করান। শুধু তা-ই নয়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও প্রকল্পের ঘর প্রকৃত ভূমিহীনদের না দিয়ে নিজ পছন্দের স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দ দেন। সেই সঙ্গে চেয়ারম্যানদের নামে প্রকল্প গ্রহণ করে নিজ খেয়াল খুশিমতো বাস্তবায়ন করেন।

বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম নীলফামারী সদর উপজেলা শাখার সভাপতি ও কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী  বলেন, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের কার্যালয়ে ১৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত হয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো অবগত করেছেন বুধবার (১৮ জানুয়ারি)। তিনি আমাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও জেসমিন নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ সত্য নয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।