ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বরে অবস্থিত ঝিলপাড় বস্তি, এর একটি অংশ রয়েছে রূপনগরেও। জীবিকার তাগিদে ঢাকায় এসে বাস-ট্রাক, রিকশা ও বেবিট্যাক্সি চালক, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক, রাজমিস্ত্রি, গৃহকর্মী, দোকানের কাজ করা নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশার মানুষের বসবাস এই বস্তিতে।
বস্তিতে রয়েছে তথাকথিত মালিক পক্ষ। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটও। দুই পক্ষের শক্ত অবস্থানের কারণে বস্তির রাস্তা ধরে সাধারণ মানুষ চলাচলে ভোগান্তির শিকার হন। নিম্ন আয়ের মানুষের আয়ের একটি অংশও কেড়ে নেয় এসব মালিক ও সন্ত্রাসী পক্ষ। ঘর ভাড়াসহ বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের অবৈধ বিলের নামে বস্তির ঘরগুলো থেকে টাকা তোলে দুই পক্ষের লোকজন। মাসে কোটি টাকারও বেশি অর্থ নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়। চোখের সামনে এসব কর্মকাণ্ড ঘটলেও কারও কিছু বলার নেই। অবৈধ কর্মকাণ্ড চললেও স্থানীয় প্রশাসনগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। কারণ, তথাকথিত বস্তির মালিক ও সিন্ডিকেটগুলো চালান বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের নেতাকর্মীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলে। শুধু তাই নয়, বস্তির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মধ্যে ঘটে মারামারির ঘটনা। ঘটেছে খুনের ঘটনাও।
সরেজমিনে জানা গেছে, রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সন্ত্রাসীদের নীরব আশ্রয়স্থল মিরপুর ১২-রূপনগর মিলে গড়ে ওঠা ঝিলপাড় বস্তি। ভাড়াটে খুনিরাও অপরাধ ঘটিয়ে এসে এখানে আত্মগোপন করে। ঢাকা ও আশপাশের বিভাগ-জেলা থেকে নানা ধরনে মাদক ও অস্ত্রের বেচাকেনাও হয় এই বস্তিতে। এখানকার কিশোররাও ভয়ঙ্কর। অল্প বয়সেই তাদের অস্ত্র ধরার হাতে খড়ি হয় এই বস্তি থেকে। রয়েছে দেহ ব্যবসার বিভিন্ন স্পট। কিশোর থেকে মধ্যবয়সীরা এসব স্পটে যাতায়াত করে। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এসব দেখাশোনা করেন ‘নেতার লোকেরা’।
এই বস্তির কিশোররা বিভিন্ন ধরনের গ্যাং পরিচালনা করে। চক্রের সদস্যরাও বহু অর্থের মালিক। তরুণরা অস্ত্র-মাদক বেচাকেনায় জড়িত। যুবক থেকে মধ্যবয়সীরা ছিনতাই-ডাকাতিতে জড়িত। বিভিন্ন বয়সের নারীরাও প্রচলিত মাদক (গাঁজা, ইয়াবা) বিক্রিতে জড়িত। বস্তিতে অপরাধহীন ব্যক্তিরাও বসবাস করেন। তাদের অধিক্যই বস্তুত বেশি। যদিও তারা ভুক্তভোগী। অপরাধীরা তাদের অর্থের যোগান দেয় এসব মানুষের পকেট কেটেই।
২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে প্রায় ৩০০ সাংবাদিক পরিবারের আবাসন গড়ে তুলতে ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে মিরপুর ৮ নম্বর সেকশনের ‘ঘ’ ব্লকে লিজ দলিলে ঝিলপাড় মসজিদের পাশে ৭ একর জমি বরাদ্দ দেয় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। ২০০৯ সালে সরকারে আসে আওয়ামী লীগ। এরপর থেকেই এই জমি লুটের চেষ্টা শুরু করেন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। ঢাকা-১৬ আসনের দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লার লোকজন পরবর্তীতে জমিটি দখলে নেয়। একাংশে বস্তির জন্য জায়গা রেখে অপর অংশে গড়ে তোলে গরুর খামার।
মিরপুর-১২ ও রূপনগরের এই এলাকার বিভিন্ন স্থানীয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে বরাদ্দকৃত জমি দখল করে বস্তি নির্মাণের পর সেখানে দোকান ও অস্থায়ী মার্কেট গড়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ওয়াসার পানির সংযোগের ব্যবস্থা করে সাবেক সংসদ সদস্যের অনুগত সন্ত্রাসী বাহিনী। প্রতি মাসে এখান থেকে ভাড়া তুলত তারা। গত ৫ আগস্টের পর ইলিয়াস মোল্লা আত্মগোপনে চলে গেলেও থেমে নেই অবৈধ কার্যক্রম। অভিযোগ রয়েছে, ইলিয়াসের ইশারা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় বস্তিটি এখনো মাদক-অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মূল আবাসস্থল।
বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেড নাকি কার জমি- সেটা তাদের জানার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, তাদের দরকার মাথা গোঁজার ঠাই। তারা অর্থের বিনিময়ে এই জমিতে নির্মিত ঘর ভাড়া করে থাকেন। ঘরগুলোর আবার ‘মালিক’ রয়েছে। তারাই ঘর ভাড়া দেন। বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সরবরাহের নামে তারা ‘বিল’ তৈরি করেন। সেটির ঘরে ঘরে পাঠিয়ে অর্থ আদায় করেন। কিন্তু এসব সরবরাহ ঠিকভাবে পাওয়াও যায় না।
তারা আরও বলেন, যে যত ঘর দখল করে আছেন, সে তত প্রভাবশালী। বস্তিতে এমন অনেক প্রভাবশালী মালিক আছে। যাদের মাসিক আয় কয়েক লাখ টাকা। তবে ঘরের মালিকের হাতে বস্তির মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এটি নিয়ন্ত্রণ করে ইলিয়াস মোল্লার ছত্রছায়ায় থাকা একাধিক গ্রুপ। এসব গ্রুপের আবার একজন করে লিডার থাকে। তারা ‘বড় ভাই’ হিসেবে পরিচিত। পট পরিবর্তনের পরও তারা সক্রিয়। বস্তির অপরাধগুলো এখনো তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে। বস্তির ঘরের মালিকরা এসব গ্রুপের হোতাদের চাঁদা দিয়ে নিজেদের ঘরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
এসব ঘর আবার বেচাকেনাও হয়। যিনি ঘর কেনেন, তিনি ভাড়া বাবদ প্রতি ঘর থেকে মাসে দুই হাজার টাকা করে নেন। আবার পানি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল করে আরও এক হাজার টাকা তোলেন। বিভিন্ন সার্ভিসের নামেও তারা বিভিন্ন অঙ্কের টাকা তোলেন। এভাবে একজন ব্যক্তি মাসে অন্তত ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করেন। হাজারো সাধারণ বস্তিবাসী এসব অপরাধীদের হাত থেকে মুক্তি চায়।
সম্প্রতি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের এক পাশে গড়ে ওঠা ঝিলপাড় বস্তি এলাকায় গিয়ে একটি সরু রাস্তা দেখা যায়। এটি দিয়েই মূলত বস্তিতে ঢুকতে হয়। ঝিলের অন্য পাশে বাঁশের সাঁকো রয়েছে, সেটি দিয়েও বস্তিতে ঢোকা যায়। পুরো এলাকায় হাজারের বেশি ঘড়-বাড়ি, স্থাপনা রয়েছে। আছে দোকানপাট-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও। পাশেই ‘আণবিক শক্তি আবাসিক এলাকা’ নামে একটি আবাসন প্রকল্প রয়েছে। বস্তিতে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, একদল কিশোর বাড়ি বাড়ি গিয়ে টোকেন দিয়ে টাকা সংগ্রহ করছে। জানতে চাইলে তারা বলে, এটা পানির বিল। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, বড় ভাইয়েরা চাঁদা আদায় করছেন। প্রশ্ন করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কিশোর জানায়, বস্তিতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের জন্য পৃথক লোকজন টাকা তোলে। নেতা বলেছে, তাই তারা টাকা তুলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বস্তিবাসী বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বস্তির নিয়ন্ত্রক হিসেবে ইলিয়াস মোল্লার নাম ছিল ওপেন সিক্রেট। বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা ভাগে ভাগে চাঁদার অর্থ আদায় করলেও মূল কোষাগার ছিল সাবেক এই সংসদ সদস্যের বাড়ি। চাঁদা তোলা কর্মীদের মধ্যে অন্যতম ছিল ‘টাকলা হাবিব’। তিনি ময়লা কামালের আদেশে একাংশের চাঁদা তুলতেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আদায়কৃত চাঁদার অর্থ লতিফ মোল্লাকে দিতেন কামাল। লতিফ মোল্লা হয়ে এই অর্থ যেত ইলিয়াস মোল্লার কাছে। ইলিয়াস এই এলাকার মূল গড- গডফাদার। তার আওতায় আরও কয়েকজন গড ফাদার হিসেবে কাজ করে। বস্তি থেকে উত্তোলিত টাকা আগে তাদের পকেটেই যায়।
ঝিলপার নতুন রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করেন ইলিয়াসের ভাগিনা সালমান মোল্লার ড্রাইভার ফজলু। মন্দির থেকে মোড় পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে ইলিয়াস মোল্লার ছোট ভাই আলী মোল্লার অফিসের স্টাফ বেলাল ও মাসুদ। ইলিয়াস মোল্লার চাচাতো ভাই জসিম মোল্লার হয়ে বস্তি নিয়ন্ত্রণ করে তুফান। বস্তিতে যেসব অপরাধ সংগঠিত হয় তারা সবারই জানা। রাতের বেলায় মেয়ে নিয়ে উল্লাস নিত্যদিনের ঘটনা। খুনি, ডাকাত এই বস্তিতে নিজেকে লুকিয়ে রাখে। বিভিন্ন স্পটে অস্ত্রের ব্যবসা হয়। বস্তির কিশোরীরা নিরাপদ নয়। কেউ কেউ তো নিজে থেকেই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কারও কারও পরিবার দুর্বল। তারা নিজেদের মেয়েদের রক্ষা করতে পারে না। তাই বিভিন্ন সময় সম্ভ্রমহানির মতো ঘটনাও ঘটে। কিছু কিছু তরুণী তাদের ঘরকে আমোদের স্পট বানিয়ে রেখেছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে বাংলানিউজ জেনেছে, ঝিলপার বস্তিতে মাদকের একাধিক স্পট রয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকে মাদকের চালান বিভিন্ন হাত ঘুরে এই বস্তিতে ঢোকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ‘ময়নার স্পট’। গাঁজা থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের মাদক পাওয়া যায় এই স্পটে। এলাকার বাইরে থেকেও মাদকসেবীরা এই স্পটে আসে। সেখানে দেহ ব্যবসাও হয়। বস্তি ও বস্তির বাইরে থেকে দেহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আসা হয় এই স্পটে।
ঝিলপাড়ের শেষপ্রান্তে রূপনগর এলাকায় সন্ত্রাসী সামছুর নেতৃত্বে সোহেল, ফারুক ও আনোয়ার গংদের ইয়াবা ও গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। মাদক বিক্রির জন্য ফারুক ও আনোয়ারদের টং দোকান ব্যবহার করে তারা। বস্তি ঘিরে গড়ে ওঠা চক্রটি অবৈধ পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের ভাড়া আদায়, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ছাড়াও বিভিন্ন দিবস ও উৎসবকে কেন্দ্র করে জুয়ার আসরও আয়োজন করে। রাতভর জুয়া খেলা চলে সেখানে। কেউ কেউ তো তরুণী-নারীদেরও জুয়ার পণ্য হিসেবে ব্যবহার করেন। নারী মাদক ব্যবসায়ীরা বস্তিতে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।
স্থানীয়দের দাবি, সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এই বস্তি। মিরপুর এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ডে এই বস্তি থেকেই অস্ত্র সাপ্লাই হয়। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ঝিলপাড় বস্তি থেকেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সংগঠন ও তাদের ভাড়া করা গুণ্ডারা অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। ভাড়াটে খুনিরাও ঝিলপাড় বস্তিতে এসে আত্মগোপন করে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, যারা এই বস্তিগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই জায়গাটিকে পুঁজি করে নানা ধরনের অপরাধ করছে। তারাই বস্তির মানুষকে বোকা বানিয়ে বা জিম্মি করে অবৈধভাবে ঘর ভাড়া, বিভিন্ন বিল আদায় করছে। এসব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে না। বস্তিতে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের আস্তানা তৈরি করছে। বস্তির মধ্যেই বসছে জুয়ার আসর, মজুদ করা হচ্ছে অস্ত্র। বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরাও নির্দ্বিধায় আত্মগোপন করছে বস্তিগুলোয়। যখন বস্তিকে কেন্দ্র করে যে ধরনে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে ধারাবাহিকভাবে যারা এসব অপরাধের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তারাই অর্থের ভাগ নিচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চাইলেই সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বস্তি এলাকার অপরাধ নির্মূল করতে পারে। যেসব বস্তি এলাকায় অপরাধের ধরন ও সংখ্যা বেশি, সেসব এলাকা বা বস্তি নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যালোচনা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি যারা গডফাদার হিসেবে পরিচিত তারাই বস্তি নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা বিভিন্ন সময় দেখি তাদের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তারা (গডফাদার) এই পরিচয়ে ও ক্ষমতা বলে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেয়। এই ধরনের ব্যক্তিরা যেন রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় না পায়, সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সোচ্চার হওয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোকে জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার অরাজনৈতিক সরকার তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হলো, বস্তিগুলো অপরাধ মুক্ত হোক। বস্তির সাধারণ মানুষগুলো যেন অল্প কয়েক জন অপরাধ প্রবণ মানুষদের কাছে জিম্মি না হয়ে থাকে।
এসব বিষয়ে রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকাম্মেল হক বলেন, বস্তিকেন্দ্রিক মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। ৫ আগস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কম কাজ হয়েছে। এখন থানার কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণেরও চেষ্টা চলছে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এতদিন ইলিয়াস মোল্লা ছিলেন, তাই বস্তি বহাল ছিল। এখন বস্তিবাসীকে ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে সবকিছু নিয়ে চলে যেতে। যদি তারা কথা না শোনে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাকসেদুর রহমান বলেন, বস্তির অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা দেওয়া আছে। বস্তিকেন্দ্রিক যেসব অপরাধী রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মাদক নিয়ন্ত্রণেও পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
এমএমআই/এমজে