ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকের নামে মামলা চিকিৎসক মো: মামুন অর রশিদ

বরগুনা: জমা করা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো: মামুন অর রশিদ নামে এক চিকিৎসকের নামে মামলা করেছেন এক বরগুনার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল নোমান।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামি মো: মামুন অর রশিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্লিনিক্যাল আনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী গ্রামে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী আবদুল্লাহ আল নোমানের বাড়ি দখল করে নেন তার সাবেক শ্বশুড় মহিউদ্দিন পান্না। নোমানের পরিবার বিষয়টির সূরাহা করতে ডাক্তার মামুনের সহায়তা চান। নোমান ও মহিউদ্দিন পান্নাকে নিয়ে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই নিজ বাড়িতে  সকাল ১০টায় বৈঠকে বসেন ডাক্তার মামুন।  

এ সময় নোমানের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা ও ৯ লাখ টাকার পৃথক তিনটি চেক নেয় ডাক্তার মামুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছিল এ টাকা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে যে একাধিক মামলা রয়েছে সেগুলো তুলে নেওয়া হবে। টাকা ও চেক গ্রহণ করে নোমানকে লিখিত প্রাপ্তি স্বীকার দেন ডাক্তার মামুন। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পরেও নোমানের নামে পারিবারিক মামলা করে তার সাবেক স্ত্রী পপি। সেই মামলায় নোমান চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি জেলহাজতে যান।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি জেল থেকে বের হয়ে ১৪ জানুয়ারি ডাক্তার মামুনের কাছে টাকা ও চেক চাই। তিনি টাকা ও চেক নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে ডাক্তার মামুন অর রশিদে বলেন, টাকা ও চেক আমার কাছে জমা আছে। আমার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয়েছে তখন আমি আদালতে টাকা ও চেক জমা দেব।  

কেন এতদিন টাকা দিলেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈঠকে যারা ছিলেন তারা আমাকে টাকা দিতে বলেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।