ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়া এ ঘটনা সম্পর্কে কাউকে কিছু জানালে ‘তার (ভুক্তভোগী) লাশ পরিবারও খুঁজে পাবে না’ বলে হুমকি দেন ওই ছাত্রলীগ নেতা৷ 

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম (এসএম) হলে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. সামিউল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শাহ মখদুম হলের ২১৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই হলের ছাত্রলীগের সভাপতি তাজবিউল হাসান অপূর্ব।

লিখিত অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, গতকাল রাতে হল সভাপতি অপূর্ব তার অনুসারীদের নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর কক্ষে প্রবেশ করে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন৷ তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেন। একপর্যায়ে তার মানিব্যাগ থেকে জোর করে ৩ হাজার ৭৭৫ টাকা ছিনিয়ে নেন।

সামিউল আরও জানান, বাকি টাকা দিতে না পারায় অপূর্ব তার মা-বাবা তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে অপূর্ব উত্তেজিত হয়ে তার গায়ে হাত তোলেন। এরপর অপূর্বের অনুসারীরা তাকে মেঝেতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। যাওয়ার আগে শুক্রবারের মধ্যে বাকি টাকা দিতে না পারলে দুপুরের মধ্যে হল থেকে চলে যেতে বলেন তারা। এসময় সামিউলকে হুমকি দিয়ে তারা বলেন, এসব বিষয় কেউ জানতে পারলে তোর লাশ তোর পরিবারও খুঁজে পাবে না। এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যতগুলো মার্ডার হইছে সব ফাও।

এর আগেও ওই রুমে থাকার জন্য সামিউলের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছিল বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা অপূর্ব। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার প্রতিপক্ষরা এসব মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।

জানতে চাইলে শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, আমরা দুই পক্ষকে ডেকে তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি তদন্তের মধ্য দিয়ে মূল ঘটনা জানা যাবে। তখন আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।