পাবনা (ঈশ্বরদী): উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ঈশ্বরদী উপজেলায় ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা এখন ৭ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
শনিবার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৯টায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার ( ২০ জানুয়ারি) ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে।
পৌষ-মাঘ দু'মাস,শীতকাল। পৌষের শেষে মাঘ মাসের শুরুতে দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই যেন তাপমাত্রা উঠানামা করে কনকনে ঠাণ্ডা জেঁকে বসেছে। শীতে জনজীবন জবুথবু অবস্থা।
এদিকে অব্যাহত শীতে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের দরিদ্র শীতার্ত মানুষ। ছিন্নমূল অসহায় শীতার্ত মানুষও বাদ নেই এই দুর্ভোগে।
মাঘের শুরুতে কুয়াশা কেটে সূর্যের দেখা মিললেও নেই সুর্যের উত্তাপ। কনকনে ঠাণ্ডা এত বেশি যে ছোট-বড় যানবাহনও চলছে ধীর-গতিতে। ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া আন্তনগর, মেইল,লোকাল ট্রেন নির্ধারিত সময় থেকে কিছুটা বিলম্বে চলছে। কনকনে শীতে বাসে, সিএনজিতে কম সংখ্যক মানুষ যাত্রা করছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেকটাই কম। নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেনে চলছে বেশিরভাগ মানুষ। মানুষের সঙ্গে পশু-প্রাণী দুর্ভোগে পড়েছেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বাংলানিউজকে জানান,শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় ঈশ্বরদী উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যখন ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করে তখন মৃদু শৈত্য প্রবাহ বলা হয়। আর ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ২১ জানুয়ারি ২০২৩
জেএইচ