বরগুনা: আমতলী উপজেলার ডালাচারা গ্রামে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর জহিরুল ইসলাম (৪২) নামে এক কৃষককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে তাকে উদ্ধার করা হয়।
জহিরুল ইসলাম পটুয়াখালী জেলার বিঘাই ইউনিয়নের তিতকাটা গ্রামের চান মিয়া খানের ছেলে। তিনি ১৩ বছর ধরে আমতলীর ডালাচারা গ্রামের শ্বশুর সেকান্দার হাওলাদারের বাড়িতে থাকতেন। ১৮ জানুয়ারি আমতলী বাজারে গরু কিনতে এসে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।
জানা গেছে, জহিরুল ইসলাম আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামের সেকান্দার হাওলাদারের মেয়ে নিলুফা বেগমকে বিয়ে করে সেখানে ২০০৮ সাল থেকে বসবাস করে আসছেন। তার স্ত্রী নিলুফা বেগম দুবাই প্রবাসী। গত ১৮ জানুয়ারি (বুধবার) সকালে জহিরুল ইসলাম একটি গরু কেনার জন্য আমতলী বাজারে আসেন। দুপুরের পর থেকেই তার স্বজনরা তাকে ফোন করলে সেটি বন্ধ পান। পরে তারা যোগাযোগ করে না পাওয়ায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) পর্যন্ত তাকে খুজে না পেয়ে তার বড় ভাই মো. মনির খান আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আমতলীর ছুরিকাটা গ্রামে সড়কের পাশে স্থানীয়রা জহিরুলকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। স্বজনরা তার খবর পেয়ে ওই দিন দুপুরেই জহিরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।
জহিরুল ইসলামের ভাই মনির খান জানান, ভাই কিভাবে নিখোঁজ হয়েছেন এবং কে বা কারা তাকে নির্যাতন করেছে সে বিষয় এখনও কিছু বলতে পারি না। তবে তিনি গরু কেনার জন্য যে টাকা নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন সেই টাকা এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে না।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পটুয়াখালীতে জহিরুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এফআর