ঢাকা: দেশের চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় মানবিক মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনাসহ নৈতিকতা সম্পন্ন একটি আধুনিক শিক্ষানীতি তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতারা। এ সময় তারা শিক্ষা নীতির যুগপৎ সংস্কারের কথা বলেন।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘ভুলে ভরা পাঠ্যবইয়ে বিকৃত ইতিহাস; শিশু-শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার যে পরিকল্পনা বা নীল নকশা চলছিলো সেটা এখন বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। এখানে শুধু হিন্দু-মুসলমান ব্যাপার নয়, পুরো ইতিহাসই এখানে বিকৃত করা হয়েছে। এতে করে আমাদের রাজনৈতিক সত্ত্বার যে ক্ষতি হবে, সেটা অনেক ভয়াবহ। আমাদের চিন্তা-চেতনায়, মনমানসিকতায় নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরির উদ্দেশে এটি বহু বছর ধরে করে এসেছে তারা। এ থেকে উত্তোরনে এখন থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ কোনো পথে এগোবে সেটাই এখন ভাববার বিষয়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন হিন্দু-মুসলমান সম্মিলিতভাবে হলেও এখানে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আপনি মুসলমানদের দখলদার হিসেবে উপস্থাপন করবেন, এটা দেশদ্রোহিতার শামিল। এখন থেকেই ভবিষ্যতের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কাজ করতে হবে। ’
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, পাঠ্যপুস্তকের এই ভুল শুধু এ বছর নতুন নয়, প্রতি বছরই করা হচ্ছে। একই ভুল বারবার করছে। সবচেয়ে বড় ব্যপার হচ্ছে বই প্রিন্টও এ দেশে করছে না। সেটাও হচ্ছে ভারত থেকে। মোদি সাহেবের পকেটে টাকা ঢোকানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে এ সরকার এবং এ সব হচ্ছে ব্যালেন্স করার জন্য বিভিন্ন দেশকে প্রকল্প দিচ্ছে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড.আসিফ নজরুল, কবি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
এসএম