ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (ঢাবি): বইমেলা কেন্দ্র করে দুর্ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণ, শাহবাগ, পলাশীসহ আশপাশের এলাকা কড়া নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সমস্ত এলাকার পুরোটি নিয়ে আসা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ও ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা শাহবাগ থেকে পলাশী পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। কন্ট্রোল রুমে বসে পুরো বইমেলা ও আশপাশের এলাকা আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে কন্ট্রোল করতে পারব। আশা করছি, আমরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। দর্শনার্থী ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই যদি আমাদের সহযোগিতা করে এবং সুশৃঙ্খলভাবে মেলায় প্রবেশ করে- সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে এর আগে আমরা সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে কাজ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমির সব প্রকাশক-লেখকদের নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। সে অনুসারে এবার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি। এর আগে বই মেলায় অতীতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সেই অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে, সে জন্য আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। বইমেলার স্টলগুলো যেখানে যেখানে থাকবে সেখানে আমাদের ফোর্স থাকবে। দর্শনার্থীরা যেসব রাস্তায় দিয়ে প্রবেশ করবে সেখানে আমরা ফুট পেট্রোল, সাইকেল পেট্রোল মোটরসাইকেল পেট্রোল থাকবে। বইমেলা উপলক্ষে আমাদের একটা কন্ট্রোল রুম থাকবে। কন্ট্রোলরুমে আমাদের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সার্বক্ষণিক সিনিয়র কর্মকর্তারা থাকবেন।
বইমেলায় দর্শনার্থীরা প্রবেশের সুবিধার্থে তিনি বলেন, আমরা বাংলা একাডেমিতে ঢোকার জন্য দুটি গেট রেখেছি, বের হতে একটি। সোহরাওয়ার্দীতে আমরা তিনটা গেট রেখেছি ঢোকার জন্য, বের হতে আলাদা গেট রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটা গেটে আর্চওয়ে থাকবে, যাতে সবাইকে চেক করে ঢোকানো যায়। ছুটির দিনগুলোয় বইমেলায় যে অত্যাধিক চাপ পড়ে সে কথা মাথায় রেখে আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেটগুলো খোলা রাখবো। ওই দিকে গাড়ি নিয়ে ঢোকা ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে।
লেখকদের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আসলে বুঝতে হবে কোনো লেখকের উপরে কোনো হুমকি নাই। তারপরেও কোনো লেখক-প্রকাশক যদি মনে করেন, তার ওপর কোনো হুমকি আছে- তার ওপর আমরা বিশেষ নজর রাখবো।
এ বছর যেহেতু করোনার কোনো প্রভাব নেই, আমরা আশা করি অনেক বেশি দর্শনার্থী বই মেলায় আসবেন। আমরা সেভাবেই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি। উস্কানিমূলক কোনো প্রকাশনা বা লেখা যাতে না হয় সেজন্য আমার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সাইবার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যদি কোনো উস্কানিমূলক লেখা পাওয়া যায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
এসকেবি/এমজে