ঢাকা: বাগেরহাটে ফ্রি ফায়ার গেমসে হেরে গালাগালির জেরে সাব্বিরকে (১৫) ডেকে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেছে বন্ধু ফেরদৌস (১৭)। এ ঘটনায় ফেরদৌসকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও মেঘনা ব্রীজ সংলগ্ন এলাক থেকে গ্রেফতার করেছে বাগেরহাট জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) পিবিআই বাগেরহাট জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুর রহমান তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার কিশোর ফেরদৌসকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, ফ্রি ফায়ার খেলায় হেরে ফেরদৌসকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে সাব্বির। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে ফেরদৌস। গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে যায় সে। সেখানে একটি গ্যারেজে বসে সাব্বির গেমস খেলারত অবস্থায় ফেরদৌস পেছন থেকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।
এরপর সাব্বিরের ভ্যানটি ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করে দেয় এবং ১০ জানুয়ারি রাতে একটি গোডাউনের নিচে মরদেহ ফেলে দিয়ে পরদিন সকালে নারায়ণগঞ্জে পালিয়ে যায় ফেরদৌস।
জানা যায়, নিহত সাব্বির শেখ বাগেরহাটের পাতলা টু তেরখাদা রাস্তায় বেশির ভাগ সময় ভ্যান চালাত। গত ৯ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে ভ্যানসহ বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পরও ফিরে না আসলে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে তার বাবা শেখ বোরহান ১১ জানুয়ারি তেরখাদা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।
গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মোল্লাহাটের ছোট কাচনা গ্রামের ওমরের মোড় সংলগ্ন গোডাউনের নিচ থেকে সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ২৩ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মোল্লাহাট থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১২) করেন সাব্বিরের বাবা।
পিবিআই বাগেরহাট জেলার এসপি আবদুর রহমান বলেন, মামলাটি পিবিআইয়ের তফসিলভুক্ত হওয়ায় আমরা স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করি। তদন্তের ধারাবাহিকতায় সোমবার (৩০ জানুয়ারি) হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর ফেরদৌসকে গ্রেফতার করা হয়। ফেরদৌস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
পিএম/এমএমজেড