পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে মেয়ের নিপীড়নের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বিচার না হওয়ায় গজেন চন্দ্র বর্মন (৫০) এক ব্যক্তির আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারটির দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান বিচারের দায়িত্ব নিলেও ১৫ দিনেও বিচার মিলেনি তাদের ভাগ্যে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি এলাকার। গজেন ওই এলাকার বাসিন্দা।
গজেনের ছেলে সুজন বর্মন জানান, তার কলেজ পড়ুয়া ছোট বোনকে গত ১৭ জানুয়ারি রাতে প্রতিবেশী শ্যামল চন্দ্র বর্মনের ছেলে পলাশ চন্দ্র বর্মন অসৎ উদ্দেশে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে পরিবারের লোকজন দেখে ফেলায় পলাশের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়। এতে আহত হয় ওই কলেজ ছাত্রী। একপর্যায়ে পালিয়ে যান পলাশ। পরে ওই কলেজ ছাত্রীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায় বিচারের দায়িত্ব নেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো উদ্যোগ নেননি চেয়ারম্যান। পরে ২৪ জানুয়ারি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগও করা হয়। বিচারের দিন নির্ধারণ করা হয় ১ ফেব্রুয়ারি। ওই দিনও বিচারে না বসায় রাগে-ক্ষোভে গজেন আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন সুজন।
সুজন বর্মন আরো বলেন, আমার বোনকে নিপীড়নের বিচার না পাওয়ার কারণে আমার বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। চেয়ারম্যানের কাছে বিচারের জন্য ঘুরেও বিচার না পাওয়ায় আমার বাবা রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায় বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে উভয়পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি। গত ১ ফেব্রুয়ারি বসার কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগকারীরাই আসেননি। না এলে কীভাবে সুরাহা করব? আর আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তবে কেন আত্মহত্যা করেছে তা জানি না।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল উদ্দিন বলেন, আমরা এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
এসআই