বইমেলা থেকে: করোনা পরবর্তী বাঙালির প্রাণের মেলা শুরু হয়েছে পহেলা ফেব্রুয়ারি। মাসব্যাপী আয়োজনে আগামীর পাঠকদের (শিশু) আগ্রহ বাড়াতে বইমেলায় ছুটির দিনে রাখা হয়েছে শিশুপ্রহর।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার পর বাংলা অ্যাকাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের বইমেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করা হয়।
শিশুপ্রহর থাকায় অভিভাবকদের হাত ধরে বিভিন্ন বয়সী শিশুরা মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে বেড়ায়। সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকির সঙ্গে নাচতে পেরে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত শিশুরা। জ্ঞানের সঙ্গে বিনোদনের ব্যবস্থা রাখায় শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে শিশুপ্রহর ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে মত দিয়েছেন অভিভাবকরা।
নাজমা হোসেন তার ৫ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে এসেছেন বইমেলায়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শিশু প্রহরের কথা জানি আগে থেকেই। তবে এই প্রথম বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি। এখানে এসে আসলে এমন ভালো লাগছে, এক কথায় অত্যন্ত সুন্দর একটি আয়োজন। জ্ঞানের সঙ্গে বিনোদনকে সম্পৃক্ত করে শিশুদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এই শিশু প্রহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ঢাকা শহরে এরকম আলাদাভাবে শিশুদের জন্য আয়োজন খুব কমই আছে। সেদিকটা বিবেচনা করলে বাংলা অ্যাকাডেমির এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজিফা তাবাসসুম বলেন, বইমেলায় আসতে অনেক ভালো লাগে আমার। আমি শুক্রবারও বইমেলায় এসেছিলাম। এখন আমাদের স্কুল শনিবারও বন্ধ থাকায় আজকে আবারও এসেছি। এখানে এসে ঘুরে ঘুরে বইগুলো দেখি। অনেক বই নেওয়ার ইচ্ছা করে, কিন্তু সব বই নিতে পারি না। আজকে আমি ৩টি বই কিনেছি।
নলেজ ভিউ প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আয়শা আক্তার। জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সিসিমপুর, ভুতের ফিকশন, গল্পের বই, কার্টুন ইত্যাদি বইয়ের প্রতি ঝোঁক বেশি শিশুদের। বইমেলা সবে শুরু হলো। বেচা-বিক্রি মোটামুটি ভালো। আশা করি, সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেচা-বিক্রি আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
এসকেবি/এনএস